ঢাকা, রবিবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ জুন ২০২৪, ১৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

কমলাপুর রেলস্টেশনে দুদকের অভিযান 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
কমলাপুর রেলস্টেশনে দুদকের অভিযান 

ঢাকা: মোহনগঞ্জ যাওয়ার জন্য মহুয়া কমিউটার ট্রেনে একটি সিটের বিপরীতে তিনটি টিকিট কাটতে হয় এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জ যাওয়ার জন্য মহুয়া কমিউটার ট্রেনে একটি সিটের বিপরীতে তিনটি টিকিট কাটতে হয়, দুদক অভিযোগ কেন্দ্র-১০৬ এ এরকম একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তারের নেতৃত্বে পাঁচ জনের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে অভিযান পরিচালনা করেছে।

সকাল ৯টা থেকে কমিউটার ট্রেনগুলোর টিকিটের যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা তা পর্যবেক্ষণ করে মহুয়া কমিউটার, তিতাস কমিউটার, রাজশাহী কমিউটার এবং জামালপুর কমিউটারসহ চারটি ট্রেনের সার্ভিস দিতে সেখানে দেখা যায়। দুদক টিম ছদ্মবেশে মূল ঘটনা জানার চেষ্টা করে এবং উপস্থিত যাত্রীদের কাছে ঘটনার সত্যতা পায়। কোনো যাত্রী যদি সিট নিয়ে যেতে চায়, তাহলে তাকে একটি সিটের বিপরীতে বাধ্যতামূলক দুই/তিন/চারটি টিকিট কিনতে হয়। আর দাঁড়িয়ে যেতে চাইলে একটি সিটের সম্পূর্ণ ভাড়া দিতে হয় এবং প্রত্যেককেই ১৫ থেকে ২০ টাকা ভাড়া বেশি দিতে হয়। বেসরকারি এই কমিউটার সার্ভিসগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতায় চললেও তাদের ওপর রেলওয়ের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তারা ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করে। ট্রেন আসার এক ঘণ্টা আগে  তারা মূলত টিকিট বিক্রি শুরু করে এবং যাত্রীদের হয়রানি করে থাকেন। সরেজমিনে এসব ঘটনার সত্যতা পেয়ে স্টেশন ম্যানেজার এবং স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে দুদক টিম কথা বলে এবং তারা ইতোপূর্বে এরকম অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান।

বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য তাৎক্ষণিক ডিআরএম শফিকুর রহমান এবং ডিসিও (ডিভিশনাল কমার্শিয়াল অফিসার) শাহ আলম এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

তাৎক্ষণিকভাবে টিকিটের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি দুদক টিমের নজরে আসে। দুদক টিম, স্টেশন ম্যানেজারের কাছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ট্রেন সার্ভিসের জন্য যে চুক্তি হয়েছে তার বিষয়ে জানতে চায়। চুক্তি অনুযায়ী তারা রেলওয়ের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে, ট্রেন সার্ভিস দেবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগী হিসেবে যাত্রী সেবা দেবে।
রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় কমিউটার ট্রেনের কর্মকর্তারা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ যাত্রীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে থাকে। এসব অভিযোগের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য তিনটি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।