ঢাকা, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

যমুনায় ভাঙনে এক স্কুল ভবন বিলীন, আরেকটি ঝুলছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
যমুনায় ভাঙনে এক স্কুল ভবন বিলীন, আরেকটি ঝুলছে

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর অংশে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ফেলে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে গেছে ৮০ নং চাঁদপুর সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়ের একটি ভবন।

আরেকটি ভবন নদীর ওপর ঝুলে আছে। যেকোনো সময় সেটিও হারিয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) নদীগর্ভে চলে যায় ৮০ নং চাঁদপুর সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়ের ভবনটি। এতে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীর পড়াশোনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে চৌহালীর সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে ভাঙন চলছে। ভাঙনের কারণে ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনটি মঙ্গলবার সকালে নদীগর্ভে চলে যায়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম জানান, সকালে আমাদের চোখের সামনেই স্কুলের ভবনটি নদীতে ডুবে যায়।

সদিয়া চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ জানান, যমুনার পানি বাড়া-কমার সাথে সাথে এ অঞ্চলে তীব্র ভাঙন চলছে। ভাঙনরোধে একটি প্রকল্প অনুমোদন হলেও যথাযথভাবে কাজ শুরু করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নয় ৪টি গ্রামের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে।

চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, কয়েকদিন আগেও যমুনা নদী থেকে স্কুল ভবনটি ২০/২৫ ফুট দূরে ছিল। ওই সময় যমুনার পানিও কমে গিয়েছিল। ধারণা করা হয়, এ বছর আর পানি বাড়বে না। তারপরও আমরা শ্রমিক দিয়ে নদী তীরে বাঁশের খুঁটি পুঁতে; মাটি ও গাছের ডালপালা ফেলে স্কুলটি রক্ষার চেষ্টা করেছিলাম।

তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন ধরে নদীর পানি বাড়ার পাশাপাশি ভাঙন শুরু হয়। সকালে স্কুল ভবনের তলা ধসে ভাঙন শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরই ভবনটি হারিয়ে যায়। আরেকটি ভবন ঝুলে আছে। যেকোনো সময় সেটিও হারিয়ে যাবে। আমরা সার্বিক বিষয় দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।