ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

যুবলীগের মহাসমাবেশ: নিরাপত্তা বলয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২২
যুবলীগের মহাসমাবেশ: নিরাপত্তা বলয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

ঢাকা: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকাল থেকেই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ব্যাপক জমায়েতের লক্ষ্যে সারা দেশ থেকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা।

এ সমাবেশ ঘিরে যে কোনো অপতৎপরতা এড়াতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পোশাকধারী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

এদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এ এলাকার প্রবেশমুখে বিভিন্ন সড়কে র‌্যাব-পুলিশ ও ডিবি সদস্যদের বাড়তি তৎপরতা দেখা গেছে। উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হচ্ছে। সন্দেহজনক কাউকে ম্যানুয়ালি হাতে তল্লাশি করা হচ্ছে।

রিজার্ভ ফোর্সের সঙ্গে প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামান, প্রিজনভ্যান। এছাড়া বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াত, ডগ স্কোয়াডসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটকে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, যুবলীগের এ সমাবেশে সারা দেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ লোকের জমায়েত হবে। তাই যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।

জঙ্গি সংশ্লিষ্ট যে কোনো অপতৎপরতা রোধে ভার্চ্যুয়াল জগতসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মনিটরিং করছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা।

নিরাপত্তার স্বার্থে রোড ব্লক ও ডাইভারশন পয়েন্ট রাখা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে কাঁটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, পুলিশ ভবন ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য ক্রসিং ও উপাচার্য ভবন ক্রসিং থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশের বাড়তি সদস্য দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। নির্ধারিত এসব এলাকার বাইরে থেকে হেঁটে প্রবেশ করছেন সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা। এদের মধ্যে কাউকে সন্দেহজনক মনে হলেই করা হচ্ছে তল্লাশি।

এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডিএমপি প্রস্তুত রয়েছে। সাদা পোশাকে পুলিশ সমাবেশস্থল ও আশপাশে অবস্থান করছে। টহল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো থেকে সার্বিক গতিবিধি মনিটরিং করা হচ্ছে।

অস্থায়ীভাবে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোলরুম থেকে সিসিটিভি মনিটরিংসহ সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ডিএমপির সদস্য ছাড়াও ঢাকা জেলা পুলিশ ও গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সদস্যরাও নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২২
পিএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।