ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

থমথমে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ, ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২২
থমথমে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ, ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা

ঢাকা: ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে মেরে দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আদালত প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ সদস্য।

পুরো এলাকায় চালানো হচ্ছে তল্লাশি। এছাড়া ডিবি পুলিশ, সোয়াত, র‌্যাব ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদসদের বাড়তি তৎপরতা দেখা গেছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট-সোয়াত ও পুলিশের বিভিন্ন সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয়েছে।

ঘটনার পরপরই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানসহ আরও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বর্তমানে আদালত এলাকায় অবস্থান করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, আদালতে আসা লোকজনের কাউকেই প্রয়োজন ছাড়া ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি চালানো হচ্ছে তল্লাশি।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুই জঙ্গিকে মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে পুলিশ সদস্যরা তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুই জঙ্গি সদস্য পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে করলে তারা অপ্রস্তুত হয়ে যান। এই ফাঁকে ওই দুই জঙ্গি পালিয়ে যায়।

জানা গেছে, পলাতক দুইজন দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। রাজধানীর মোহাম্মাদপুর থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আজকে হাজিরা ছিল ওই দুই আসামির। সন্ত্রাসবিরোধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করে হাজত খানায় নেওয়ার সময় চারজনের মধ্যে দুই জনকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। ছিনিয়ে নিতে আসা বাকি চারজন দুটি মোটরসাইকেল করে আদালতে এসেছিলেন।

পলাতক দুইজন হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুরের মইনুল হাসান শামীম ও লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেটশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব।

এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা ডিবি পুলিশের প্রধান হারুন আর রশীদ বলেন, আমরা শুনেছি আদালতের গেটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের চোখে স্প্রে করে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে অপর জঙ্গিরা। চারজন জঙ্গি মোটরসাইকেল করে আদালতে এসে পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে দুইজনকে ছিনিয়ে নেয়। চোখে স্প্রে করার কারণে দায়িত্বরতরা কিছু দেখতে পারেনি।

ঘটনার পরপরই আমাদের গোয়েন্দা সদস্যরা আসামিদের ধরার জন্য কাজ শুরু করেছে। ঢাকার সব পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আশপাশের অলিগলিতে তল্লাশি করা হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুতই তাদের গ্রেফতারে সক্ষম হব।

২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। তাদের মধ্যে ইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২২
পিএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।