ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

পৃথিবীর ইতিহাস লুকিয়ে রেখেছে নিজের বুকে!

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
পৃথিবীর ইতিহাস লুকিয়ে রেখেছে নিজের বুকে!

উত্তর-পশ্চিমে স্কটল্যান্ডের প্রত্যন্ত একটি অঞ্চলে লুকিয়ে আছে জটিল প্রাণীজগতের উত্থানের পর থেকে পৃথিবীর বিবর্তনের নানা কাহিনী। লোচ অ্যাসিন্ট নামের অঞ্চলটি স্কটল্যান্ডের অত্যাশ্চর্য এলাকার একটি, যেখান থেকে পৃথিবীর ইতিহাস জানা সম্ভব।



উত্তর-পশ্চিমে স্কটল্যান্ডের প্রত্যন্ত একটি অঞ্চলে লুকিয়ে আছে জটিল প্রাণীজগতের উত্থানের পর থেকে পৃথিবীর বিবর্তনের নানা কাহিনী। লোচ অ্যাসিন্ট নামের অঞ্চলটি স্কটল্যান্ডের অত্যাশ্চর্য এলাকার একটি, যেখান থেকে পৃথিবীর ইতিহাস জানা সম্ভব।
স্কটল্যান্ড পরিচিত রুক্ষ ও পাহাড়ি প্রকৃতির জন্য। কিন্তু এর কোনো কোনো শিলা পর্বত বিশ্বের প্রাচীনতম সৃষ্টিগুলোর একটি। পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বড় পরিবর্তনের গল্প এসবের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে।

স্কটল্যান্ডের ঝুলিতে তাই আছে পৃথিবীর অনেক গোপন রহস্য।

উনিশ শতকের প্রথমভাগে স্কটল্যান্ডের শিলা পর্বত নিয়ে প্রথম গবেষণা শুরু করেন ভূতত্ত্ববিদরা। ওই গবেষণা পৃথিবী প্লেট টেকটনিক ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের আধুনিক জ্ঞানের ভিত্তি গঠন করে।
 
লোচ অ্যাসিন্টের এ৮৩৭ পাড়গুলো বরাবর রাস্তার মহাজাগতিক শিলাতে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে গোপন রহস্যগুলো উদ্‌ঘাটন সম্ভব। পৃথিবীর সমান বয়সী এসব শিলা বলছে, বিলিয়ন বিলিয়ন বছরের এই ধীর ভূ-তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া আজকের পৃথিবীর সুন্দর দৃশ্যাবলী তৈরি করেছে।
 
এর লোচিনভার এলাকার শেষে পশ্চিমে রাস্তার পাশে উন্মুক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে প্রাগৈতিহাসিক শিলা ‘লেওসিয়ান নিসিক’, যা ৩ বিলিয়ন বছর বয়সী। এ শিলা গঠনের সময়কালে পৃথিবীতে একটিমাত্র জীবন এককোষী অণুজীবের অস্তিত্ব ছিলো।

এ শিলা এলাকার গুল্ম আবৃত নিচু বন্ধুর জমিগুলো স্কটল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিম উপকূল বরাবর ও বাইরের গেব্রি্স এলাকার মধ্যে চলমান। পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে বিবর্তিত হয়ে এর আজকের চেহারা পেয়েছে। ভূমি কখনো উত্তপ্ত, কখনো গলিত ও কখনো চারপাশে বিকৃত হয়ে কোনো অংশকে কালো ও কোনো অংশকে সাদা চেহারা দিয়েছে।

লোচ অ্যাসিন্টের প্রাচীনতম পাথরের নিচু জমি অ্যাসমেলভিসের সুন্দর সৈকতে আমাদের বিশ্বের পরিবর্তনের আরও অনেক প্রমাণ রয়েছে। উপকূল বরাবর শিলা এখানে দুমড়ে-মুচড়ে ও সঙ্কুচিত হয়েছে। তারা তলে চাপা পড়েছে, চূর্ণ ও উত্তপ্ত হয়ে সরে সরেও গেছে।

বিলিয়ন বিলিয়ন বছর ধরে এসব পুরনো পাথর শিলা ওপরের দিকে উঠেছে এবং ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে।
প্রায় ১ বিলিয়ন বছর আগে এখানকার উপরিভাগে ‘টোরিডোনিয়ান বেলেপাথর’ জমা হতে হতে বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর তখন থেকেই বহুকোষী জীবনের শুরু হয়।

প্রাচীন ‘লেওসিয়ান নিসিক’ ও নতুন ‘টোরিডোনিয়ান বেলেপাথর’ এর ব্যবধান ২ বিলিয়ন বছর। পৃথিবীর ইতিহাস তৈরির এই মধ্যবর্তী সময়কার রহস্যও তাই লোচ অ্যাসিন্টে পাওয়া সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ১০২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।