ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

ফরিদপুরে অনুর মটকা চায়ে মজছেন সবাই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৩
ফরিদপুরে অনুর মটকা চায়ে মজছেন সবাই

ফরিদপুর: চা প্রিয় বাঙালি, চা খেতে কে না ভালোবাসে? সকালে ঘুম থেকে উঠে শুরু হয়, গভীর রাত পর্যন্ত অফিসে কাজের ফাঁকে, বন্ধুদের আড্ডায়, পাড়া-মহল্লায়, হাটে-বাজারে বয়োবৃদ্ধদের গল্পের মাঝে চলে চা পান। আর সেই চা যদি ভিন্ন ট্রেন্ডে দেখা যায় তাহলে তো আর কথাই নেই।

তেমনি এক চায়ের দেখা মিলেছে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া বাজারে ‘আড্ডা ক্যাফে’ নামক একটি দোকানে। যেখানে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ভোজন রসিকরা শুধু এক কাপ চায়ের জন্য। সেখানকার মটকা চা সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর কারিগর স্থানীয় হাসিবুল ইসলাম (অনু) নামে এক তরুণ। কারো প্রতি অভিমান করে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে ইউটিউব থেকে শিখে গড়ে তোলেন জনপ্রিয় মটকা চায়ের দোকান। যদিও অভিমানটা প্রকাশ করতে নারাজ। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হাসিবের মটকা চা।

রোববার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তার সেই মটকা চা খেতে ‘আড্ডা ক্যাফে’তে ছুটে যান এ প্রতিবেদক। সেখানে মটকা চা তৈরির ফাঁকে ফাঁকে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন হাসিবুল ইসলাম অনু। এ সময় চায়ের দোকান দেওয়ার পেছনের কারণটাও জানান, কিন্তু প্রকাশ করতে বারণ করেন। শুধু এতটুকু বলা যায়, ‘কারো প্রতি অভিমান করেই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন’।

অনু বলেন, ‘ইউটিউব দেখে শিখেছিলাম ইন্ডিয়ান তান্দুরি মটকা চা তৈরির কৌশল। তারপর ঢাকায় যেয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে এসে বাজারে আড্ডা ক্যাফে নামে এই দোকানটি গড়ে তুলি। প্রথমদিকে চাহিদা কম থাকলেও এখন প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে তরুণেরা ছুটে আসছে আমার দোকানে। এমনকি ফরিদপুর জেলা শহর থেকেও মানুষ আসছে। ’

তিনি বলেন, ‘এখানে দুই ধরনের মটকা চা পাওয়া যায়, একটির মূল্য ৮০ টাকা, অন্যটি ৬০ টাকা। আমার এখানে মটকা চায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বাদের চাও পাওয়া যায়। যেমন- রঙ চা, দুধ চা, স্পেশাল দুধ চা, মালাই চা। এসব চা বিক্রি করে বর্তমানে আমি বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছি। সংসার নিয়ে ভালোই কাটছে।

এ সময় ফরিদপুর থেকে ছুটে আসা মাস্টার্স পড়ুয়া মুহম্মদ ইমন নামে এক যুবক বলেন, ‘অনেকের কাছে এই চায়ের গল্প শুনেছি। তারপর বন্ধুরা মিলে মোটরসাইকেলে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এই চা খেতে এসেছি। এ চায়ের স্বাদটা আসলেই অসাধারণ। এই কনকনে শীতের মধ্যে এই চা খেয়ে আসলেই আমরা আনন্দিত। ’

চা খেতে আসা আবু বক্কর সিদ্দিক নামে মাস্টার্স পড়ুয়া আরের যুবক বলেন, ‘আসলেই এই চাও যেমন অসাধারণ, তেমনি পাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যটাও অসাধারণ। সন্ধ্যা বা বিকেলে আসলে মটকা চায়ের স্বাদের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও উপভোগ করার মতো। আসলেই আমরা মুগ্ধ। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।