ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

‘গান্ধী বর্ণবাদী’!

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৬
‘গান্ধী বর্ণবাদী’! সংগৃহীত

দুনিয়াজোড়া অহিংসার মন্ত্র প্রচার করেছিলেন তিনি। এজন্য তাকে বলা হয় ‘অহিংসার বরপুত্র’।

নামের সঙ্গে ‘মহাত্মা’ অভিধাটিও একমাত্র তারই---‘মহাত্মা গান্ধী’। কিন্তু এবার তাকেই বলা হচ্ছে বর্ণবাদী!

এখানেই শেষ নয়, দূর অতীতে তার কথিত এক ‘বর্ণবাদী মন্তব্য’র জের ধরে তার ভাস্কর্য অপসারণের সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছে আফ্রিকার দেশ ঘানা।
 
গান্ধীর এই কথিত (লিখিত) মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে দেশটির রাজধানী আক্রায় ইউনিভার্সিটি অব ঘানার ছাত্র-শিক্ষকরা রীতিমতো আন্দোলনে নামেন। তাদের দাবি, গান্ধী যেহেতু কালোদের হেয় করে বর্ণবাদী মন্তব্য করেছেন, সেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তার ভাস্কর্য থাকতে পারে না।
 
ঘানা সরকারও ছাত্র-শিক্ষকদের দাবির সত্যতা মেনে ভাস্কর্যটি অপসারণ করে তা ভারতে ফেরত পাঠানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

ঘানা ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় গত জুন মাসে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্যটি উন্মোচন করেছিলেন।

এ ব্যাপারে বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ফলাও করে প্রতিবেদন ছেপেছে। একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম: ‘Ghana to remove Gandhi statue following university protest because of Indian freedom fighter's 'alleged racism'

গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একবার এক লেখায় বলেছিলেন, ‘ভারতীয়রা কালো চামড়ার আফ্রিকানদের চেয়ে ঢের-ঢের বেশি উত্তমর্ণ’----“infinitely superior” to black Africans।
গান্ধীর বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা সরকারের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলেছে, ‘কোনো উদীয়মান ইউরেশীয় পরাশক্তির ইচ্ছার কাছে নতজানু হওয়ার চেয়ে আমাদের উচিত নিজেদের আত্মমর্যাদার পক্ষে উঠে দাঁড়ানো। ’

‘বিদেশের ঠাকুর ফেলে’ আফ্রিকার বীরদেরকেই সবার আগে দিতে হবে সম্মান—এমন কথাও বলা হয় স্মারকলিপিতে।    

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকদের মারমুখী আচরণ এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, সরকার তা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ও বলেছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা যারপরনাই উদ্বিগ্ন। এ অবস্থায় ঘানা সরকার কোনো ঝুঁকি না নিয়ে মূর্তিটি সরিয়ে নিয়ে বিবাদের আগুনে জল ঢালারই পক্ষপাতী।

ঘানা সরকার এক বিবৃতিতে সেকথাই বলেছে, ‘সরকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সম্ভাব্য আরও বিতর্ক এড়াতে ঘানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মূর্তিটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে আগ্রহী। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৬
জেএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।