ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

ছাগলের চামড়ায় আঁকা নিউইয়র্কের প্রাচীনতম ম্যাপ!

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৬
ছাগলের চামড়ায় আঁকা নিউইয়র্কের প্রাচীনতম ম্যাপ!

ছাগলের চামড়ায় তৈরি নিউইয়র্কের সবচেয়ে পুরনো মানচিত্র জনসাধারণের জন্য প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে আগামী ২২ অক্টোবর। নিউইয়র্কের টিফাফ শিল্পমেলায় প্রদর্শনের পর এর মূল্য হাঁকা হবে ১০ মিলিয়ন বা এক কোটি ডলার।

দুর্লভ বই ও মানচিত্র ব্যবসায়ী ড্যানিয়েল ক্রাউচ মানচিত্রটির এখনকার মালিক। ‘আমরা যদি এটি ১০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করতে পারি, তাহলে সেটি হবে সবচেয়ে মূল্যবান মানচিত্র। এমনকি লাইব্রেরি অব কংগ্রেসে থাকা বিশ্বের সমকক্ষ মানচিত্রগুলোর চেয়েও ব্যয়বহুল এটি’- বলেন তিনি।

ম্যানহাটানের পূর্বপাশের বাজারে ক্রাউচের কার্যালয়। সেখানে ১০ মিলিয়ন ডলারের মানচিত্রটির ওপর দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আমার জীবনে একই ধরনের অনেক  মানচিত্র নাড়াচাড়া করেছি। কিন্তু কখনোই এতো উজ্জ্বল মানচিত্র দেখিনি’।

‘এটা অবশ্যই সমপর্যায়ের মানচিত্রগুলোর চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর’।

ক্রাউচ বলেন, আমেরিকা মহাদেশের নাম উল্লেখ করে প্রথম মানচিত্রটি অবশ্য তৈরি হয় ১৫০৭ সালে, যেটিও ২০০৩ সালে ১০ মিলিয়ন ডলারে গোপনে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

আর ১৫৩১ সালে নিউইয়র্কের মানচিত্রটি তৈরি করেন ইতালির জেনোয়ার মানচিত্রকর ভেসকনটি ম্যাগিওলি। এটি আমেরিকার পূর্ব সমুদ্রতীরের প্রথম চিত্রায়ন এবং নিউইয়র্ক পোতাশ্রয়ের প্রথম মানচিত্র। হেনরি হাডসন এর আগে ৮০ বছর ধরে হাডসন নদী পরিভ্রমণ করেও এটি তৈরি করতে পারেননি।

ক্রাউচ মাত্র ১২ সপ্তাহ আগে মানচিত্রটি প্রথম দেখেন, যা প্রযুক্তিগত একটি নেভিগেশানাল তালিকা দিয়ে আচ্ছাদিত ছিলো।

ক্রাউচ জানান, একজন ইংরেজ সংগ্রাহকের দখলে ছিলো সেটি। ১৯৮৩ সালে একটি প্রাচীন অভিজাত সুইস পরিবারের কাছ থেকে মানচিত্রটি কিনে নেন তিনি। সে সময় কংগ্রেসের লাইব্রেরির পক্ষ থেকেও সেটি কেনার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু নিলামে তাদের চেয়ে বেশি দর হাঁকা হয়।

‘এটি জলপথে প্রথম দিককার অভিযান পরিচালনাকারী পর্তুগিজ অভিযাত্রী ফার্দিনান্দ ম্যাগেল্লানের সমুদ্রযাত্রার বর্ণনায় তৈরি প্রাচীনতম একটি মানচিত্র, যা সমগ্র বিশ্বের প্রেক্ষাপটে রচিত’- বলেন ক্রাউচ।

৬ দশমিক ৭ ফুট চওড়া ও ৩ ফুট লম্বা মানচিত্রটি একটি অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেমে সংরক্ষণ করে রেখেছেন ক্রাউচ। ‘ছয়টি ছাগলের চামড়া থেকে তৈরি মানচিত্রটি কার্যত অক্ষয়’- বলেন তিনি।

মানচিত্রটি তার বৈচিত্র্যময় রং নিয়ে পাঁচ শতক ধরে টিকে আছে। তরল সোনা ও রুপার ক্ষেত্রে যে রং ব্যবহার করা হয়, সেটি দিয়েই কালি-কলম ও সূক্ষ ব্রাশে আঁকা মানচিত্রটি ভালোভাবেই সংরক্ষিত। এর ব্যতিক্রমধর্মী রুপার অংশটি কালো হয়ে গেছে।

মানচিত্র দু’টি নির্দেশনার ওপর লেখা। টেবিলের ওপর স্থাপন করা হলে এর দুই পাশই দেখা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৬
এএসআর/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।