ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

এশিয়ার প্রাণী ক্যাফে!

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৬
এশিয়ার প্রাণী ক্যাফে!

পোষা প্রাণীদের সঙ্গে নিয়ে ক্যাফেতে খাবার গ্রহণের প্রচলন অনেকদিন ধরে।

পোষা বিড়াল নিয়ে এসে কফির কাপে চুমুক দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কিছু ‘বেড়াল ক্যাফের দরজা গ্রাহকদের জন্য সবসময়ই খোলা।

কিন্তু এশিয়ায় এ ধরনের ক্যাফের ধারণা আরও উন্নত করা হয়েছে। বিড়াল ও সমগোত্রের প্রাণীদের বাইরেও অন্য প্রাণীদের জায়গা হয়েছে ক্যাফেতে।

এশিয়ায় এক দশকেরও বেশি আগে খোলা হয় এ ধরনের প্রথম ক্যাফে। এরপর তা বিস্তার লাভ করে বিভিন্ন দেশের শহরে শহরে।

জাপানের টোকিওর স্নেক কেন্দ্রে ক্রেতারা ১ হাজার ১০০ ইয়েন (প্রায় ১১ ডলার) খরচ করে এক কাপ কফি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের শরীরে একটি পিছল বন্ধুর গুটিয়ে থাকার অনুভূতি পেতে পারেন। এক প্লেট কারি রুটি খাবারের সঙ্গে সাপের স্পর্শ পেতে বা একটি বড় সাপ জড়িয়ে খাবার খেতে অবশ্য অতিরিক্ত খরচ করতে হবে।

সিঙ্গাপুরের কুকুর ক্যাফে ডব্লিউটিএফে (We’re The Furballs) গেলে কুকুরছানাদের নানা খেলা দেখার সুযোগ মেলে। এর মালিক মছি ক্যাপচিনো কফি খাওয়ার সময় অতিথিদের পায়ের কাছে তার কুকুরছানাদের কসরত করতে পাঠান।  

আর ব্যাংককের ছোট চিড়িয়াখানা ক্যাফেতে দক্ষিণ আফ্রিকার নকুল জাতীয় প্রাণী মিরক্যাটস্‌, রেকুন্স এবং নরম কানের ছোট শিয়াল চলে আসবে ফরাসি ফ্রাইয়ের প্লেট ও তা ঢেকে রাখা নরম কাপড়ের কাছাকাছি, যা অকল্পনীয়।

কিছু ক্যাফে এসব প্রাণী বিক্রি বা তাদের পোষ্য হিসেবে গ্রহণের আমন্ত্রণ জানায়। অন্যরা ক্রেতাদের পেঙ্গুইন থেকে শুরু করে হেটগেহগস্‌ পর্যন্ত তাদের যেকোনো পোষা প্রাণীকেও সঙ্গে আনতে বলে।  

ওয়াছিরাপর্ন অ্যারামপিবুলফল টোকিওর একটা পেঁচা ক্যাফে পরিদর্শন শেষে এক বছর আগে ব্যাংককে একটি বহিরাগত পশু ক্যাফে খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি সেখানে একটি জায়গা গড়তে চেয়েছিলাম, যেখানে মানুষ প্রাণী সম্পর্কে জানতে আসতে পারেন। আমি সাগলিং জেলি, স্বর্ণকেশী শিয়াল, দক্ষিণ আমেরিকান করাল ছিনছিলাস্‌ ও মিরক্যাটস্‌সহ অন্যান্য বহিরাগত গৃহপালিত প্রাণী আমদানি করে গ্রাহকদের নিতে বলি। কিন্তু আমি চিন্তিত যে, মালিকেরা ঝোঁকের বশে কেনার পর তাদের নির্যাতিত হতে বা থাইল্যান্ডের গরমে মরতে হয় কি-না’।

তিনি বলেন, তার ছোট চিড়িয়াখানা ক্যাফেতে গ্রাহকরা একটি বাস্তবতা বুঝতে পারেন, যখন তারা পশুদের কাছাকাছি চলে আসেন। তিনি শুধুমাত্র এ বছরেই অর্ধেক ডজন বিক্রি করেছেন।

তাইওয়ানের  তাইপের ‘ক্যাট ফ্লাওয়ার ক্যাফে’ ১৯৯৮ সালে খোলা প্রথম বেড়াল ক্যাফে।

জাপানের ‘ভিএনার ক্যাফে’ ২০০৫ সালে শুরু হয়, যেখানে কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহপালিত প্রাণী রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। আর দেশটিতে এখন ১০০টিরও বেশি বেড়াল ক্যাফে তৈরি হয়েছে, শুধুমাত্র টোকিওতেই ৫০টি তালিকাভুক্ত ক্যাফে আছে। এখন নতুন নতুন ছাগল, খরগোশ এবং পাখি থিমযুক্ত খাবারের দোকানও খোলা হচ্ছে।

২০১৪ সালে সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরীয় অঞ্চলে একটি বেড়াল ক্যাফে খোলা হয়। এ ধারণা দ্রুত নিউইয়র্ক থেকে লসএঞ্জেলেস পর্যন্ত ২০টিরও বেশি আমেরিকান শহরে ছড়িয়ে পড়ে।

ইউরোপে জনপ্রিয় হওয়ার পর নেদারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও ইতালিতে আরো অনেক বিড়াল ক্যাফে খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৬
এএসআর/এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।