ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অফবিট

কচ্ছপেরও ছিল শিং!

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
কচ্ছপেরও ছিল শিং!

অস্ট্রেলিয়ার বিলুপ্ত ও এখনকার প্রাণীরা যেমন অদ্ভুত তেমনি বেখাপ্পা তাদের আচার-আচরণ।

অস্ট্রেলিয়ার বিলুপ্ত ও এখনকার প্রাণীরা যেমন অদ্ভুত তেমনি বেখাপ্পা তাদের আচার-আচরণ।

যেমন দৈত্যাকার কচ্ছপ মেইওলানিয়ার মাথার দু’পাশে ছিল দু’টি শিং।

তাদের দেহাবশেষ সৈকতের পাশে খুঁজে পাওয়ায় প্রথমে এটাকে জলজ প্রাণী বলে মনে করা হচ্ছিল। এখন এটি স্থলজ বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। আর্জিন্টিনায় পাওয়া এ প্রজাতির কিছু কচ্ছপের জীবাশ্মের বৈশিষ্ট্য দেখে এটিকে টিকটিকি জাতীয় প্রাণী বলেও মনে করা হতো। কারণ, তারা আদতে ছিল টাইরানোসাওরাস গ্রুপের কৃত্রিম সাঁজোয়া ডাইনোসর অ্যানকিলোসাওরাসের অন্তর্গত।    

আবার এদের স্বজাতিরা অনেকেই তৃণভোজী হলেও উদ্ভিদের ওপর বিরক্ত ছিল মেইওলানিয়ারা। প্লেইস্টোসিন প্রাণীদের যুগে শাবকবাহী (পেটের তলায় থলিতে শাবক বহন করে এমন স্তন্যপায়ী) মেইওলানিয়াদের বসবাস ছিল অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও লর্ড হাও, নিউ ক্যালেডোনিয়া ও ভানুয়াতু দ্বীপে।

মহাজাতি প্লেটিসেপস্‌ভূক্ত দুই প্রজাতির কচ্ছপের একটি এই মেইওলানিয়া। অন্যটি তাদের তাদের বড় ভাই মেলানইড। প্লেইস্টোসিন যুগেই মেলানইডরা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল সমুদ্রে ভ্রমণকারী ল্যাপিটা সংস্কৃতির মানুষদের হাতে।    

তবে মেইওলানিয়া সম্পূর্ণ বিলুপ্ত প্রাণী কি-না, তা এখনও অজানা রয়ে গেছে। যদিও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ ভানুয়াতুতে এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মেইওলানিয়া ড্যামেইলিপির জীবাশ্ম পাওয়া গেছে, যা মাত্র ২ হাজার ৮০০ বছর থেকে ৩ হাজার বছরের পুরনো বলে পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে।

অসামুদ্রিক কচ্ছপদের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম এই প্রাণীটি আড়াই মিটার লম্বা পর্যন্ত হতো। তবে নিউ ক্যালেডোনিয়া ও লর্ড হাও দ্বীপে পাওয়া মেইওলানিয়ার নমুনা থেকে বোঝা গেছে, তারা তাদের প্লেইস্টোসিন দৈত্যাকার শাবকবাহী আত্মীয়দের (বিষধর টিকটিকি মেগালানিয়া, জায়ান্ট পাইথনসহ অন্যান্য সরীসৃপ) চেয়ে অনেক ছোট ছিল।

তাদের শিং দু’টি অসাধারণ ও অনেক শক্ত আকৃতির খুলির দুই পাশে পার্শ্বাভিমুখ করা ছিল। ৬০ সেন্টিমিটারের মাথার খুলি শিলাখণ্ডসহ বিভিন্ন শক্ত জিনিস থেকে রক্ষা করতো তাকে। এর বৃহদাকার লেজও ছিল সাঁজোয়া ‘রিং’ দিয়ে সুরক্ষিত, শেষে কাঁটার মতো ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ০৫২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
এএসআর/টিআই
 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।