ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অফবিট

বিলুপ্তপ্রায় ‘পেঁচা তোতা’ ফিরছে নিউজিল্যান্ডে

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
বিলুপ্তপ্রায় ‘পেঁচা তোতা’ ফিরছে নিউজিল্যান্ডে ছবি: সংগৃহীত

হারিয়ে  যেতে বসেছিল হাজার হাজার বছর ধরে নিউজিল্যান্ডে বাস করা ‘পেঁচা তোতা’ পাখি ক্যাকাপো। মানুষের নির্বিচারে শিকারে বিলুপ্তপ্রায় অদ্ভুত চেহারার এ পাখিটিকে ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বাড়ানোর ব্যতিক্রমী এক কর্মসূচি চালাচ্ছে দেশটি।

ঢাকা: হারিয়ে  যেতে বসেছিল হাজার হাজার বছর ধরে নিউজিল্যান্ডে বাস করা ‘পেঁচা তোতা’ পাখি ক্যাকাপো। মানুষের নির্বিচারে শিকারে বিলুপ্তপ্রায় অদ্ভুত চেহারার এ পাখিটিকে ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বাড়ানোর ব্যতিক্রমী এক কর্মসূচি চালাচ্ছে দেশটি।

এ কার্যক্রম ইতোমধ্যেই সফল হতে শুরু করেছে, নিজ বাসভূমিতে বাড়ছে নিশাচর ক্যাকাপোদের সংখ্যা।  

স্ট্রিগোপাস হ্যাবরোটিলাস্‌ পাখি প্রজাতির ক্যাকাপোরা তাদের উদ্ভট চেহারা ও অসাধারণত্বের জন্য বিশ্ব বিখ্যাত। একটি ছোট কুকুরের সমান আকার, কিন্তু একটি পেঙ্গুইনের সমান লম্বা হয় তোতা প্রজাতির পাখিটি। এই বড় গোলাকার পাখিটির আবার পেঁচার মতো মাথা ছাড়াও বেড়ালের মতো গোফও আছে।

কিন্তু নির্বিচার শিকারে পরিণত হয়ে বিলুপ্তপ্রায় পাখির তালিকায় চলে যায় এর নাম। ১৯৭০ সালে নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপ ফিওর্ডল্যান্ডে মাত্র ১৮টি ক্যাকাও পাখির অস্তিত্ব ছিল বলে জানা যায়।   কিন্তু ১৯৭৭ সালে স্টুয়ার্ট দ্বীপে বেশকিছু পুরুষ ও মহিলা ক্যাকাও আবিষ্কার এই মূল্যবান পাখির টিকে থাকার জন্য নতুন আশা হয়ে দেখা দেয়।

এরপর থেকেই নিউজিল্যান্ডের প্রকৃতি সংরক্ষণ মন্ত্রণালয়ের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের একটি ছোট দল ক্যাকাও রক্ষা ও বাড়াতে নিরলসভাবে কাজ করেছি। ১২৩টি প্রাপ্তবয়স্ক পাখির জন্য নিরাপদ বৃত্তাকার আবাসস্থল তৈরি এবং প্রজনন মৌসুমে বংশবৃদ্ধির পরিবেশ তৈরি করেছেন তারা। সম্পূরক সুস্থ ও ভালো খাবার দিয়ে নিউজিল্যান্ড জুড়ে থাকা স্বেচ্ছাসেবী ও বিদেশিরাও ক্রমবর্ধমান সমর্থন ও সহযোগিতাও করছেন তাদের।

এখন তিনটি শিকারিমুক্ত দ্বীপে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রজননক্ষম ক্যাকাওরা। স্টুয়ার্ট দ্বীপপুঞ্জের হোয়েনুয়া হৌ/ কডফিস দ্বীপ, দক্ষিণ-পশ্চিম ফিওর্ডল্যান্ডের অ্যাঙ্কর দ্বীপ এবং হাওরাকি উপসাগরের ও টৌ/ লিটল বেরিয়ার দ্বীপের নিরাপদ অভয়ারণ্যে বছরজুড়ে পাখিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও তাদের প্রিয় খাদ্য রিমু ফলসহ ভালো খাবার খাওয়ানোর কাজ করছেন কর্মীরা।    

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
এএসআর/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।