ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অফবিট

মস্তিষ্কই আমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
মস্তিষ্কই আমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি মস্তিষ্কই আমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি

আমাদের প্রজাতি আধুনিক মানুষ হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্সদের জেনেটিক গঠনের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে, আমাদের নিকট আত্মীয় অন্য হোমিনিনদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। আগের বা সমসাময়িক প্রজাতিগুলোর চেয়ে আধুনিক মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতা উন্নত।

আমাদের প্রজাতি আধুনিক মানুষ হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্সদের জেনেটিক গঠনের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে, আমাদের নিকট আত্মীয় অন্য হোমিনিনদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। আগের বা সমসাময়িক প্রজাতিগুলোর চেয়ে আধুনিক মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতা উন্নত।

 

যেমন, সমসাময়িক হোমো নিয়ান্ডারথ্যালেন্সিস্‌ বা নিয়ান্ডারথাল ও ডেনিসোভানদের মস্তিষ্কের আকার আমাদের অনুরূপ ছিল। তবে আমাদের জীবনকালে আমাদের মস্তিষ্ক সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে বিকশিত হয়েছে।


কয়েকটি সহজ ধাপে মানুষ উল্লুক থেকে মানব প্রজাতিতে বিবর্তিত হয়েছে। বড় মস্তিষ্ক বানর জাতীয় প্রাণী থেকে আধুনিক মানুষে অগ্রগতি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।  

আমাদের অধি-সামাজিক ও সমন্বিত মস্তিষ্কে ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য যুদ্ধ ও প্রেম করার একটি সামাজিক উপাদান আছে। আমাদের অধিকাংশ স্বতন্ত্র মানুষের আচরণে এসব প্রকাশিত হয়।  

আজ আর আমরা ছাড়া হোমিনিনদের কোনোটিই টিকে নেই, বিলুপ্ত হয়ে গেছে চিরতরে। দ্রুত নতুনত্ব ও ভালো পরিবেশ তৈরির দক্ষতা ও সেগুলোকে কাজে লাগানো এবং একটি উচ্চ প্রজননগত সাফল্য আমাদেরকে নেতৃত্বের আসনে বসিয়েছে। আমাদের বড় মস্তিষ্ক এ সাফল্যের ক্ষেত্রেও মূল ভূমিকা পালন করেছে।

জার্মানির টুবিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞানী নিকোলাস কোনার্ড বলেন, ‘মস্তিষ্ক আমাদের জ্ঞান অর্জন ছাড়াও একে অপরের সঙ্গে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে সংগঠিত হতে সহায়তা করেছে। বিপরীতে, নিয়ান্ডারথালদের শিল্প বা প্রতীকের প্রয়োজন ছিল না। এর প্রমাণ, তারা সীমিত কিছু অলঙ্কার তৈরি করলেও পরিমাণে ও মানে আমাদের সমান নয়। তারা তাদের শিকার, রান্না, ঘুম, আহার, লিঙ্গ ও বিনোদনে শিল্পের ব্যবহার করেনি। প্রতীকী এ শিল্পকর্ম একটি পুরো অস্ত্রাগারের জন্যও প্রয়োজনীয় ছিল না। আবার ডেনিসোভানদের কাছ থেকে আমরা ছোট হাড়ের আঙুল ও দুই দাঁত পেলেও মস্তিষ্কের কোনো কিছু নেইনি’।


‘সিম্বলিক তথ্য ভাগ আমাদের সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। প্রতিটি নতুন ধারণা আমাদের প্রজন্মের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে অমর হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করেছে’।  


জার্মানির জাঁ জ্যাক লিপজিগ বিবর্তনমূলক নৃ-বিজ্ঞান ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউটের হাবলিন বলেন, ‘ভাষার বিস্তারও মস্তিষ্কের মাধ্যমে হয়। যেমন একটি চাকার দাগ পাওয়া গেলে আমাদের অনন্য ক্ষমতা একাধিক স্বতন্ত্র ভাবনার দিকে পরিচালনা করে। আমরা একটি সমস্যার জন্য ভিন্ন ভিন্ন সমাধানের দিকে এগোই। আমরা এক্ষেত্রে একচেটিয়া ক্ষমতার অধিকারী। অন্যান্য প্রাচীন হোমিনিনরা বহুবার একই জিনিস করতে যাচ্ছিল। তারা একটি চাকার দাগ পাওয়ার মধ্যেই আটকে ছিল। আমাদের একটি উচ্চতর মস্তিষ্ক এ পার্থক্য সুস্পষ্ট করেছে বলেই আমরা সফল হয়েছি’।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।