ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

কিভাবে লাখ লাখ শিশুকে বড়দিনের উপহার দেন সান্তা

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
কিভাবে লাখ লাখ শিশুকে বড়দিনের উপহার দেন সান্তা কিভাবে লাখ লাখ শিশুকে বড়দিনের উপহার দেন সান্তা-ছবি: সংগৃহীত

বড়দিনের এক রাতেই লাখ লাখ শিশুকে উপহার বিতরণ করেন সান্তা ক্লজ। চুপি চুপি চিমনি দিয়ে নিচে নেমে আসেন, একটি শিশুর জন্য উপহার রেখে একই পথে ফিরে গিয়ে আরেকটি বাসায় যান।

বড়দিনের এক রাতেই লাখ লাখ শিশুকে উপহার বিতরণ করেন সান্তা ক্লজ। চুপি চুপি চিমনি দিয়ে নিচে নেমে আসেন, একটি শিশুর জন্য উপহার রেখে একই পথে ফিরে গিয়ে আরেকটি বাসায় যান।

এভাবে এক রাতের মধ্যেই ৭০০ মিলিয়ন ছেলে-মেয়েকে উপহার দিতে পারেন ফাদার খ্রিস্টমাস। কিভাবে সেটা করেন তিনি? অদৃশ্য হয়ে ও শব্দ না করেই ক্ষুদ্র পরিসরের চিমনি বেয়ে মাপমতো নিচে নামতেই বা কিভাবে সক্ষম হন?

এক্ষেত্রে সান্তা ক্লজ আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব ব্যবহার করেন বলে মনে করেন যুক্তরাজ্যের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী কেটি শিন।

শিশুরা কেন ক্রিসমাসের প্রাক্কালে তার পায়ের শব্দ শোনে না এবং কেন তারা খুব কমই সান্তার আসার আভাস পায়, সেটিরও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেটি শিন।
 
‘আপেক্ষিকতা তত্ত্বকে কাজে লাগিয়ে সান্তা তরঙ্গ গতিতে বল্‌গা হরিণে চড়ে বিশ্বজুড়ে চলাচল করেন। চিমনির মাপমতো সঙ্কুচিত বা পাতলা হতে এবং বড়দিনের উপহার নিয়ে নিচে নামতে তার হাতের বিশাল ছালাটিকে সক্রিয় ভাবে কাজে লাগান’- ব্যাখ্যা এ পদার্থবিজ্ঞানীর।

তিনি বলেন, ‘ফাদার খ্রিস্টমাস চিমনিকেও ঠিকমতো নিচে সেট করতে পারেন। প্রতিটি শিশুকে উপহার বিলির জন্য ভ্রমণ করতে যে গতি তার দরকার বা চিমনির মতো করে নিজেকে সংকুচিত-পাতলা করতে কি করতে হবে, তার সূত্রও আপেক্ষিকতা তত্ত্ব থেকে পেয়েছেন’।

শিন বলেন, আপেক্ষিকতা এটিও ব্যাখ্যা করে যে, কেন ফাদার খ্রিস্টমাস একই বয়সে স্থির। কারণ, আপেক্ষিকতা সময়কে মন্দীভূত করে রাখে।

ওই পদার্থবিজ্ঞানী হিসাব করেছেন, সান্তা ও তার বলগা হরিণ প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০ মিলিয়ন কিলোমিটার ভ্রমণ করেন। এভাবে ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ক্রিসমাস উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে প্রত্যাশিত প্রতিটি শিশুকে উপহার বিলি করতে সক্ষম হন।

সান্তার এ গোপন রহস্যময় বিতরণ ব্যবস্থার সাফল্য দেখে তার আশাবাদ, শিশুরা পদার্থবিদ্যায় অনুপ্রাণিত হবে। তাই সান্তার অস্তিত্বকেও পদার্থবিদ্যার একটি বৃহত্তর স্বার্থে নিতে হবে।

লাখ লাখ শিশু সান্তার সান্নিধ্যে ভালো হয়েছে এবং বড় ধন্যবাদ তার প্রাপ্য। সেজন্যই তার এমন দ্রুত ভ্রমণের প্রয়োজন হতে পারে। যেমন গতির মাধ্যমে তাকে লাল থেকে সবুজে পরিবর্তন করা যাবে এবং বৃহত্তর গতিতে তিনি অদৃশ্য হয়ে যাবেন’- বলেন কেটি শিন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।