১১/১১ ফুটবলে একটি সুন্দর মাঠই বলতে গেলে প্রধান দরকারি। যেটা অনেক দেশেই নেই; থাকলেও সবার জন্য প্রযোজ্য নয়।
অনেকেরই ধারণা, খেলতে হলে সব মাঠ সমান হতে হবে। কিন্তু না, দলের ফর্মেশন, খেলোয়াড়দের দক্ষতাসহ প্রতিপক্ষ ভিত্তি করে ফুটবল মাঠ একেক সাইজের। ৯০ থেকে ১২০ মিটার দৈর্ঘ আর এর বিপরীতে ৪৫ থেকে ৯০ মিটার পর্যন্ত প্রস্থ হতে পারে একটি মাঠের। এজন্যই দ্বীপ, সমুদ্র পাড়, পর্বত, ভাসমান ও ভবনের ছাদে তৈরি করা বিচিত্র ওই ফুটবল মাঠগুলো জায়গা স্বল্পতা বা অন্যান্য কারণে বিভিন্ন সাইজের। যদিও ফিফার ১০৫/৬৮ মিটার মাঠ।
এশিয়া দেশ সিঙ্গাপুরের মহানগরীতে একটি ভাসমান ফুটবল পিচ রয়েছে। বিখ্যাত মেরিনা বাই হোটেলের পাশেই পানি সরবরাহ করে বিচিত্র ওই মাঠটি তৈরি করা হয়। এতে খেলতে গেলে অনেক খরচ হয় বলেও জানা যায়।
গ্রিনল্যান্ডের তাসিয়ালাক শহরে একটি ফুটবল মাঠ রয়েছে, যেটি গাঢ় নীল তুষারকণা ঘেরা। সেইসঙ্গে পাশের সমুদ্রটিও নীল রঙের পানিতে অপরূপ সেজে আছে।
ডেনমার্কের দ্বীপের রাজ্য বলে খ্যাত ফারো দ্বীপপুঞ্জতে ইউই নামে স্টেডিয়াম আছে একটি। আইস্তুরয় দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমের ওই স্টেডিয়ামটি মনোরম দৃশ্য ধরে খেলোয়াড়-দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।
নরওয়ের আর্কটিক সার্কেলের লফোটেন দ্বীপপুঞ্জে রয়েছে একটি ফুটবল মাঠ। এটি ইউরোপের সবচেয়ে সুন্দর-মনোরম দৃশ্যের জায়গাগুলোর মধ্যে একটি দখল করে আছে।
হিমালয় পর্বতমালার তাজিকিস্তান সম্ভবত সবচেয়ে জনশূন্য এলাকা। অথচ ওই পর্বতের আড়াই হাজার মিটার উঁচুতে তৈরি করা হয়েছে ফুটবল মাঠ। সেখানে মানুষ খেলতে চায় আগ্রহের সঙ্গে।
চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লিয়াওনিংয়ের শেনায়াং এলাকার ব্যস্ত রাস্তার ফাঁকে তৈরি করা হয়েছে একটি আকর্ষণীয় ফুটবল মাঠ। আশপাশের সবুজ দৃশ্য মাঠটি এমনভাবে ঘিরে ধরেছে যা দেখলে মন ভরে উঠবে।
লাথিন আমেরিকার ব্রাজিলের বৃহত্তম ও সবচেয়ে জনবহুল শহর রচিনা পাহাড়ে বেষ্টিত। আর ওই ফাঁকে রয়েছে খুব সুন্দর একটি ফুটবল মাঠও।
জাপানের রাজধানী টোকিও’র সর্বাধিক পর্যটন বিখ্যাত এলাকা শিবুয়া ক্রসিং। পর্যটকদের ভিড়ে যাকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা বলা হয়ে থাকে। কিন্তু ওইখানে যে একটি সুন্দর ফুটবল মাঠ আছে সেটা সবার জানা নেই। একটি শপিং মলের ছাদের মধ্যে বিচিত্রভাবে রয়েছে ফুটবল খেলার ব্যবস্থা। চাইলেই ঘণ্টায় ৫৪ ডলার দিয়ে খেলতে পারবেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৮
টিএ