ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

সাত মাসের শিশুর পাকস্থলীতে ৭৫০ গ্রাম ওজনের টিউমার

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
সাত মাসের শিশুর পাকস্থলীতে ৭৫০ গ্রাম ওজনের টিউমার প্রতীকী

সাত মাস বয়সী এক শিশুর পাকস্থলী থেকে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৭৫০ গ্রাম ওজনের একটি টিউমার অপসারণ করেছেন চিকিৎসকরা। ঘটনাকে ‘জন্মগত ব্যতিক্রম’ উল্লেখ করে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘বিরল’ বলে অভিমত চিকিৎসকদের।

গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন চিকিৎসক মানিপল হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জন এবং ইউরোলজিস্ট বিভাগের প্রধান ও কনসালট্যান্ট সি. এন. রাধাকৃষ্ণ।  

তিনি জানান, প্রিম্যাচিউরড (অপরিপক্ক) শিশু রোগী আবির মন্ডলের যখন দুই মাস বয়স তখন তার বাবা সন্তানের পেট অস্বাভাবিক ফুলে যাওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করেন।

সে সময় কালকাতায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তারা ব্যাঙ্গালুরু চলে যান।

দীর্ঘ সময় সেখানে অবস্থান করে সন্তানের সফল চিকিৎসার পর তারা কলকাতায় ফিরে আসেন। শিশু আবির মন্ডলের বাবা তন্ময়, মা বিজয়া মন্ডল থাকেন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায়।

চিকিৎসক রাধাকৃষ্ণ বলেন, যখন বিজয়া গর্ভবতী হন তখন নিয়মিত তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হতো। কখনও কোনো কিছু অস্বাভাবিক ধরা পড়েনি। সাত মাস বয়সে আবিরের প্রিম্যাচিউরড জন্মের পর তার দুই মাস বয়সে বাবা তন্ময় পেটের অস্বাভাবিক ফুলে যাওয়া লক্ষ্য করেন। পরে কলকাতার এক চিকিৎসক শিশুটির পেটে একটি টিউমার খুঁজে পান, যা খুবই অস্বাভাবিক। কারণ তার টিউমারটিতে তরল ও কঠিন জাতীয় উপাদান পাওয়া যায়, যার মধ্যে ছিলো হাড়ও, বলেন রাধাকৃষ্ণ।

তিনি আরো বলেন, শিশুটির বাবা-মা খুব উদ্বেগজনক অবস্থায় আমার কাছে এসেছিলেন, কারণ তারা শিশুটির অবস্থা বুঝতে অক্ষম ছিলেন। আবিরের পেটের প্রাচীরে খুব বড় টিউমার হয়েছিল এবং এটি সামনের দিকে প্রসারিত হচ্ছিল।

তবে সফল অস্ত্রোপচারের পর আবির দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছে জানিয়ে চিকিৎসক রাধাকৃষ্ণ বলেন, সে এখন ভালো আছে। অন্যসব স্বাভাবিক শিশুর মতো বেড়ে উঠছে, নিয়মিত ওজনও বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।