ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অফবিট

৭ কোটি বছর ধরে সাপের ছিল পা!

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
৭ কোটি বছর ধরে সাপের ছিল পা!

সাপের পা দেখা এবং না দেখা এ নিয়ে কত আষাঢ়ে গল্প ছড়িয়ে আছে সর্বত্র তার ইয়াত্তা নেই! এ নিয়ে অব্যাহত রয়েছে গবেষণাও। সাপের শারীরিক গঠন, আকৃতি নিয়ে গবেষকরা ইতোমধ্যে নানা বিশ্লেষণ হাজির করেছেন।

অনেকেই দাবি করেছেন, পূর্বের সাপের দৈহিক গড়ন বর্তমানের মতো ছিল না। তাদের পা ছিল, আকৃতিতে তারা ছিল বৃহৎ অর্থাৎ এখনকার মতো ছোট নয়! বিবর্তনের মাধ্যমে সাপ এখন ছোট আকার ধারণ করেছে।

সম্প্রতি আবিস্কৃত একটি জীবাশ্ম বিশ্লেষণের মাধ্যমে আবারও সাপের পা থাকার বিষয়টি প্রমাণের চেষ্টা করেছেন একদল গবেষক। তাদের দাবি, হারানোর আগে সাপের পা ছিল অন্তত ৭ কোটি বছর।

সায়েন্স অ্যাডভান্সে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন দাবি করেছেন গবেষকরা।

তাদের দাবি, নতুন আবিস্কৃত জীবাশ্মের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, সাপের পেছনের অংশে অর্থাৎ লেজের দিকে পা ছিল।

আর্জেন্টিনার নর্দান পাতাগোনিয়া থেকে গবেষকরা আটটি সাপের মাথার খুলি আবিস্কার করেছেন। এরমধ্যে একটি প্রায় অক্ষত অবস্থায় ছিল।

উদ্ধার সাপের মাথার খুলি।

আর্জেন্টিনার আজারা ফাউন্ডেশনের (বেসরকারি গবেষণা সংস্থা) গবেষক ফার্নান্দো গার্বেরোগলিও এক বিবৃতিতে বলেন, আমারা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখেছি বর্তমান সাপেদের পূর্বপুরুষেরা ছিল আকারে বৃহৎ। একইসঙ্গে তাদের মুখও ছিল বড়। যদিও আগে সাপের আকৃতি নিয়ে ভিন্ন ধারণা প্রচলিত ছিল। গবেষণায় এও দেখা গেছে যে, পূর্বে বহুদিন ধরে সাপেরা তাদের পেছনে পা ধরে রেখেছিল। কিন্তু বিবর্তনে বদলে গেছে সাপের রূপ। এখন সাপ সম্পূর্ণ পাহীন।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, প্রায় ৭ কোটি বছর ধরে সফল এবং স্থিতিশীল অবস্থায় নাজাশ নামের এক ধরনের সাপ পেছনে পা নিয়ে টিকেছিল। এটা তখন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় এক শারীরিক অঙ্গ হিসেবেই বিবেচিত হতো ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না সাপ পা ছাড়া বাঁচতে অভ্যস্ত হয়েছে।

এ গবেষণার কো-অথর ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টার অধ্যাপক মিশেল ক্যাডওয়েল বলেন, এ গবেষণা আধুনিক এবং পুরনো সাপের মাথার খুলির বিবর্তন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা হাজির করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।