গ্রীষ্মের রোদ্রতপ্ত দিন। পানির খোঁজে উড়ে বেড়াচ্ছিল একটি তৃষ্ণার্ত কাক।
শেষে কলসির পাশে কিছু নুড়ি পাথর পরে থাকতে মাথায় বুদ্ধি এলো তার। একটি একটি করে নুড়ি পাথর কলসির ভেতর ফেলতে শুরু করলো সে। আস্তে আস্তে ওপরে উঠতে শুরু করলো পানি। একসময় পানি কাকটির ঠোঁটের নাগালে চলে আসলো।
ছোটবেলায় পড়া তৃষ্ণার্ত সেই কাকের গল্পটাই যেন আবার ফিরে এলো ভারতের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি ভিডিও টুইটে।
তৃষ্ণা মেটাতে কল চেপে পানি পান করছিলো একটি হাতি। আর এই ভিডিওটি শেয়ারের পর ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে।
ভিডিওতে দেখা গেছে- জঙ্গলের কাছাকাছি কোনো নদী বা পুকুর খুঁজে পায়নি হাতিটি। পানির প্রাকৃতিক উৎস না পেয়ে তাকে চলে আসতে হয় লোকালয়ে। তৃষ্ণা মেটাতে শুঁড় দিয়ে কল চাপছিলো সে। কিছু পানি বেরোনোর পর শুঁড় দিয়ে টেনে নেয় হাতিটি। কিন্তু ঠিক ততোটাই, যতোটা তার প্রয়োজন। ভিডিওটি এখন পর্যন্ত প্রায় ২৯ হাজার বার দেখা হয়েছে।
টুইটারে ভিডিওটির মাধ্যমে একটি বার্তাও দেয় জলশক্তি মন্ত্রণালয়। তারা লিখেছে- পানি সংরক্ষণ করুন। সুপেয় পানির উৎস খোঁজার ঝামেলা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন। হাতিটি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কলটি পাম্প করেনি। একটি হাতি যদি পানির প্রতিটি ফোঁটার গুরুত্ব বুঝতে পারে, তাহলে আমরা মানুষ হয়ে কেন এই অমূল্য সম্পদ নষ্ট করবো?
২০১৯ সালে সুপেয় পানির সরবরাহ ও সমস্যার সমাধানে গঠিত হয় জলশক্তি মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ভূপৃষ্ঠের ৭০ শতাংশ পানি। কিন্তু সুপেয় পানির সরবরাহ খুবই কম। মাত্র তিন শতাংশ। পৃথিবীতে যে পরিমাণ পানি রয়েছে তার মাত্র দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ সুপেয়। এর দুই-তৃতীয়াংশ আবার থেকে গেছে জমাট বরফ অবস্থায়, যা মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে সুপেয় পানির সরবরাহ চাহিদার চেয়ে ৪০ শতাংশ কম হবে।
एक हाथी भी #जल की एक-एक #बूंद का महत्व समझता है। फिर हम इंसान क्यों इस अनमोल रत्न को व्यर्थ करते हैं?
— Ministry of Jal Shakti ?? #AmritMahotsav (@MoJSDoWRRDGR) September 3, 2021
आइए, आज इस जानवर से सीख लें और #जल_संरक्षण करें। pic.twitter.com/EhmSLyhtOI
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
এনএসআর