যুক্তরাজ্যে ৪৫ বছর বয়সী এক নারী বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়েছেন। বিচ্ছেদের পর সেই খুশিতে বন্ধুদের নিয়ে একটি পার্টি দিয়েছেন।
পেশায় হিসাবরক্ষক ওই নারীর নাম সোনিয়া। তিনি তার পরিবার ও বন্ধুদের সেই পার্টিতে দাওয়াত করেন। পার্টিতে দুই সন্তানের জননী সোনিয়াকে রঙিন পোশাকে বেশ প্রাণবন্ত দেখা যাচ্ছিলো। তিনি তার অথিতিদেরও রঙিন পোশাক পরে আসতে বলেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন পার্টির থিমটি তার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলে যাক। খবর ইন্ডিয়া ডট কম।
তিনি বলেছিলেন, তার বিয়ে তাকে নিস্তেজ করে দিয়েছে। শুরু থেকেই তিনি জানতেন যে তারা একে অপরের জন্য উপযুক্ত নয়।
সোনিয়া ২০০৩ সালে ভারতে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু কয়েক বছর পরে, তিনি টের পেরেছিলেন যে তিনি সুখি নন। তা সত্ত্বেও তিনি বছরের পর বছর ধরে সম্পর্ককে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেছিলেন।
ডিভোর্সের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সোনিয়া বলেন, যখন আমি আমার পরিবারকে আমার সিদ্ধান্তের কথা বলেছিলাম। তখন আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন সমর্থন ছিল না। কিন্তু আমার বন্ধু এবং আমার দুই ছেলে মিখল এবং শে আমার সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে।
৪৫ বছর বয়সী নারী বলেছিলেন, তিনি এশিয়ান সিঙ্গেল প্যারেন্ট নেটওয়ার্ক থেকেও সাহায্য পেয়েছিলেন। তিনি যে, ‘ডিভোর্স পার্টি’ আয়োজন করেছিলেন তা ছিল তার বাবা-মাকে দেখানো; যারা শেষ পর্যন্ত তার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছিলেন।
বিয়ে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিলো। কিন্তু এটি তিন বছর ধরে টানা ছিলো। অবশেষে অনেক আলোচনা, আদালতে উপস্থিতি, বিচার এবং মতবিরোধের পরে বিয়ে বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়। সোনিয়া বলেন, মানুষ সাধারণত বিশ্বাস করে যে, বিয়ে বিচ্ছেদের পরে কোন জীবন নেই। এরপরে আপনার জীবন শেষ হয়। কিন্তু আসলে আমার সবেমাত্র শুরু হয়েছে।
আমি এ বছরগুলোতে অনেক কিছু শিখেছি এবং অনেক শক্তিশালী ব্যক্তি হয়েছি। আমি সব সময় চেয়েছিলাম পুরনো আমাকে ফিরে পেতে। আমি এখন মুক্ত মনে করি। আমি যেন কারাগার থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি এবং এখন আমি সত্যিই আমার সেরা জীবন যাপন করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
এএটি