আমরা অনেকেই আছি যাদের অনেক মানুষের ভেতর থাকতে ভালো লাগে না। সব সময় একা, নিরিবিলি থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
বাড়িটির বর্তমান মালিক সেটি বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছেন। বাড়ির জন্য তিনি দাম হাঁকিয়েছেন ৩ লাখ ৩৯ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় তিন কোটি টাকা।
বাড়িটি তেমন বড় নয়। ছোট্ট ওই বাড়ির অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের মেইন অঙ্গরাজ্যের একটি দ্বীপে। কানাডা সীমান্ত ও অ্যাকাডিয়া ন্যাশনাল পার্কের মাঝামাঝি বাড়িটির অবস্থান। মেইনের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার বাড়িটি জনমানবহীন ও সবকিছু থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন।
সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে- বাড়িটিতে বসেই উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরপাড়ের অসাধারণ সব দৃশ্য চোখে পড়ে। বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে সৈকত। আশপাশে জনমানবহীন বাড়িটির চারপাশে শুধু মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য। প্রকৃতির এমন রূপের দেখা কোথাও মিলবে না। দ্বীপটির মূল ভূখণ্ড থেকে বাড়ির দূরত্ব মাত্র এক মাইলের। জোনসপোর্ট শহর থেকে ছোট নৌকায় কম সময়ে সেখানে যাওয়া যায়।
দেড় একর জায়গা নিয়ে ৫৪০ বর্গফুটের বাড়িটি নির্মাণ করা হয় ২০০৯ সালে। বাড়িতে আছে একটি শোবার ঘর ও ছোট্ট একটি রান্নাঘর। ঘরে যেন জায়গার কমতি না হয়, তাই রান্না ও শোবার ঘর ছাড়া আর কিছুই রাখা হয়নি ভেতরে। একটি বাথরুম আছে ঘরের বাইরে। বাড়িটির অবকাঠামোও বেশ ভালো।
বাড়িটি যিনি কিনবেন, তাকে কোনোদিন যানবাহনের শব্দ শুনতে হবে না। অতিরিক্ত বন্ধুসুলভ প্রতিবেশীরাও কখনোই বিরক্ত করতে আসবেন না।
বাড়িটির বিক্রির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানকে। প্রতিষ্ঠানটি বাড়িটি বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত করে সেখানে লিখেছে, বাড়ির আশপাশে এমন সব দৃশ্য আছে, যা সারাক্ষণ আপনাকে বিনোদিত করবে। এখানে কোনো গাছ নেই, কিন্তু প্রকৃতির এমন সব দৃশ্য দেখা যায়, যা আর কোথাও দেখা যাবে না। দ্বীপ ও নির্জন সময় কাটানো একসঙ্গে দুটোই মিলবে এখানে।
সূত্র: এনডিটিভি
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২২
জেডএ