ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাপার জন্য গলার কাঁটা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২৩
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাপার জন্য গলার কাঁটা’

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব ও জাতীয় সেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা বলেছেন, ১৯৯১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সর্বদলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের কাছে। তিনি যখন শপথ নিলেন তখন বলেছিলেন সব রাজনৈতিক দলকে সমান সুযোগ সুবিধা দেবেন।

উল্টো তিনি শপথ নেওয়ার কিছুদিন পরে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু এরশাদের নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করেন। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরে সব দলের প্রধানরা রেডিও টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পান কিন্তু পল্লীবন্ধু এরশাদকে সেই ভাষণ থেকে বিভিন্ন ছল-চাতুরি করে শাহাবুদ্দিন সরকার ষড়যন্ত্র করে দূরে রাখেন।

শনিবার (২২ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার নোয়াগাঁও চর কামালদী বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত নোয়াগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।   

লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, তার কিছুদিন পরে পল্লীবন্ধু এরশাদ আজকের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও শিশুপুত্র সাদ এরশাদকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠান। সেই সময় বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের রোষানল থেকে কেউ রেহাই পায়নি। আইনজীবীরা পল্লীবন্ধু এরশাদের পক্ষে কোর্টে দাঁড়িয়েও জামিন করাতে পারেনি। বরং জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী, সিনিয়র নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করা হয়। নির্বাচনকালীন জাতীয় পার্টির গণসংযোগ করা ছিল অত্যন্ত বিপদজনক। সেই সময় জাতীয় পার্টির কোনো নেতাকর্মী দেশের কোনো রাস্তায় নেমে একটি মিছিল পর্যন্ত করতে পারেনি। হামলা-মামলা দিয়ে বাড়িতে ঘুমাতে দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, এত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও সেই সময় জাতীয় পার্টি ৩৫টি আসনে জয়লাভ করে। আমাদের প্রিয় নেতা পল্লীবন্ধু এরশাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে প্রবল আপত্তি ছিল। তিনি নির্যাতনকারী, হামলা, মামলা দায়েরকারী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে আমৃত্যু অবস্থান নিয়েছিলেন। এটা জাতীয় পার্টির জন্য গলার কাঁটা। আজকে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য অনেকে মায়া কান্না করছে। তারা ১৯৯১ সালের সেই ভয়ংকর অবস্থা বেমালুম ভুলে গেছে। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামের কলঙ্কের বোঝা আর বইতে চাই না। এটা থেকে পরিত্রাণ চাই। নির্যাতনকারী শাহাবুদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাদের জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। এটা আবার চালু হউক আমরা চাই না।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২৩
এমআরপি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।