ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আগামী ১০০ বছরেও আ. লীগের অস্তিত্ব থাকবে না: আমিনুল হক 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৪
আগামী ১০০ বছরেও আ. লীগের অস্তিত্ব থাকবে না: আমিনুল হক 

ঢাকা: আওয়ামী লীগের যেভাবে পতন হয়েছে আগামী ১০০ বছরেও তাদের আর অস্তিত্ব থাকবে না মন্তব্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, মহান স্বাধীনতার যুদ্ধের বীর যুদ্ধারা যেভাবে ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল, ঠিক তেমনিভাবে আজকে আমাদের মহান ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা কিন্তু হাসিনা সরকার তা কানে নেননি।

এর কারণেই বাংলাদেশের জনগণ ঘৃণাভরে এ শেখ হাসিনা সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। হাসিনাকে বিদায় করে স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ হয়েছে।

আওয়ামী সরকারের পতনের পর দেশে লুটপাট, দখল ও চাঁদাবাজির অপকর্মের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আমিনুল হক বলেন, কোনো প্রকার দখল বাণিজ্য, লুটপাট ও চাঁদাবাজিতে নেতাকর্মীদের ন্যূনতম অভিযোগ প্রমাণ হলে তাদের দল করার কোনো যোগ্যতা থাকবে না। দল থেকে তাদের বহিষ্কার করা হবে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, যারা দখলদারি, চাঁদাবাজ ও লুটপাট করার কাজে অপচেষ্টা করছে, তারা কিন্তু দুষ্কৃতকারী, তারা বিএনপির লোক নয়, হয়তো বা তারা নব্য বিএনপি হয়েছে। তিনি বলেন, যারা লোকাল প্যানেল থেকে আওয়ামী লীগ করেছে, আপনাদের মতো হয়তো বা কোনো ভাইদের সহযোগিতায় তারা এখন নব্য বিএনপি হয়েছে।  
 
তিনি দখলবাণিজ্য, লুটপাট, চাঁদাবাজির মতো অপকর্মে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের  আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।  

আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ যে ভুল গত ১৭ বছর ধরে করেছে, যে জুলুম নির্যাতন নিপীড়ন করেছে, যদি তার একটা ভুল ও আপনারা করেন, তাহলে আমাদেরও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে।  

তিনি বলেন, দেশের জনগণ কি চায়? বাংলাদেশের ছাএসমাজ কি চায়? শ্রমিক সমাজ কি চায়? জনগণের ভাষা বুঝে জনগণের বন্ধু হিসেবে পাশে থেকে জনগণের যে প্রত্যাশা, যে চাওয়া, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করবো। এটাই হচ্ছে আমাদের মূল কাজ।  

আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী সরকার গত ১৭টা বছর বাংলাদেশের জনগণের ওপর ও জাতীয়তাবাদী নেতাকর্মীদের ওপর যেভাবে জুলুম নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়েছে। আপনারা নিজেরাই শত শত মামলা হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আপনারা বাসাবাড়িতে ঘুমাতে পারেননি। গত জুলুমবাজ আওয়ামী সরকার মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ ছিল। জনগণের কথা ভাবেননি। তারা যদি জনগণের কথা ভাবতো, তাহলে তাদের এভাবে করুণ পরিণতি হতো না।  

এমন দুর্বৃত্ত সরকারকে বাংলাদেশের মানুষ আর দেখতে চায় না উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী সরকারের পরিণতি কি রকম হয়েছে আপনারা সবাই জানেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো পৃথিবীর মানুষ দেখেছে শেখ হাসিনা কীভাবে ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা মহানগর গত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, এজিএম শামসুল হক,মোয়াজ্জেম হোসেন মতি,আখতার হোসেন, মোস্তফা জামান,মহানগর  সাবেক সদস্য হাজী মো. ইউসুফ, এবিএমএ রাজ্জাক,সোহেল রহমান ও কাউন্সিলর আলী আকবর আলী।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৪
টিএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।