পটুয়াখালী: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপি একটি মামলাও করেনি। স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার পতনের আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনার নির্দেশে দেড় হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ বিএনপির আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। হাসিনা এমন অবস্থা করেছিলেন যে, এমপি হতেও ভোট লাগেনি। বিনা ভোটে এমপি হয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচন রাতেই করে ফেলা হয়েছিল। ২০২৪ সালের নির্বাচন নিজেরা নিজেরাই করেছে। ’
অন্তর্বর্তীস রকার প্রসঙ্গে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বের সরকারকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই। কারণ আগামীদিনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য অবাধ-সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। ’
আওয়ামী লীগের আমলে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং সংসদ নির্বাচনে ভোট মানুষ ভোট দিতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে চায়। যার জন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমরা তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা করব। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল নির্বাচন হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমরা এককভাবে সরকার গঠন করবো না। আন্দোলনরত সকল দলগুলো নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবো। ’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং রেহানার ছেলে ববি ৫৮ হাজার কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছে। খুন-গুম এবং টাকা চুরিসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যে শেখ হাসিনা করেননি। তাই বোনকে নিয়ে ভারতে তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। ’
জনসভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন হাওলাদার। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৪
এসএএইচ