ঢাকা: জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের সংসদ সদস্য পদ নিয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জাফর আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এ রায় ঘোষণা করেন।
ঋণখেলাপের অভিযোগে আ স ম ফিরোজের সংসদ সদস্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পটুয়াখালী জেলার বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল রিট আবেদনটি করেছিলেন।
এ রিটের শুনানি শেষে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আ স ম ফিরোজ কোন ক্ষমতাবলে পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য পদে বহাল রয়েছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
গত ৩১ আগস্ট রিটটির চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়।
রিট আবেদনের আইনজীবীদের মতে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের সাতদিন আগে খেলাপি ঋণ পরিশোধ করতে হয়। এ আইন না মেনে আ স ম ফিরোজ মাত্র চারদিন আগে ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর ঋণ পুনঃতফসিল করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক পরদিন তা অনুমোদন করে। ফলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ (এম) ধারা অনুসারে তিনি সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার যোগ্য নন। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আইন অনুযায়ী তিনি একজন অযোগ্য ব্যক্তি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর তথ্য মতে ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত ফিরোজ ঋণখেলাপি ছিলেন। দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে আ স ম ফিরোজ প্রার্থী হলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ নিয়ে আপত্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে সে আপত্তি আমলে নেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আইন অনুসারে কোনো ঋণ তিনবারের বেশি পুনঃতফসিল করা যায় না। অথচ ফিরোজের ওই ঋণ এ নিয়ে মোট আটবার পুনঃতফসিল করা হয়েছে। এ পুনঃতফসিলে সোনালী ব্যাংক ১৩ কোটি ৫১ লাখ ৮২ হাজার ৬৪ টাকা মওকুফ করে। এখনো সেখানে তার ২০ কোটি ৪০ লাখ ২৩ হাজার ২১৩ টাকা ঋণ রয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
ইএস/এএসআর