ঢাকা: অক্টোবর থেকেই শুরু হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক কাজ। আগামী ডিসেম্বরে নির্ধারিত সময়েই দলটির ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় ডিসেম্বরে সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়। আর অক্টোবরে কার্যনির্বাহী সংসদের পরবর্তী সভায় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে শুরু হবে প্রস্তুতি পর্ব।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের এই জাতীয় সম্মেলনের আগে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলাগুলোর সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। সেইসঙ্গে দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সম্মেলন করা হবে। ইতোমধ্যেই জেলা সম্মেলনের কাজ চলছে। অধিকাংশ জেলা সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। ১৮টি জেলার সম্মেলন বাকি রয়েছে। যেসব জেলায় সম্মেলন হয়েছে সেসব জেলায় আগামী মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, দলের গত কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিসেম্বরে সম্মেলনকে সামনে রেখে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে তিনি নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সভায় শেখ হাসিনা বলেন, সম্মেলন যথাসময়ে হবে। সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। যেসব জেলায় সম্মেলন বাকি আছে, সেসব জেলার সম্মেলন দ্রুত শেষ করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি দ্রুত ঘোষণা করতে হবে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনসহ সম্মেলনের বিভিন্ন কাজের জন্য উপ-কমিটি গঠন করে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে। এছাড়া, ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রে কোনো বিষয় সংযোজন বা সংশোধনী আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, সেটা বাস্তবায়নের জন্যও একটি কমিটি করে দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানান, দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের ৭৩ সদস্যের কার্যনির্বাহী সংসদ রয়েছে। এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১০১ পর্যন্ত করা হতে পারে। এজন্য দলের গঠনতন্ত্রেও সংশোধনী আনা হতে পারে।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দলের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বাংলানিউজকে বলেন, ডিসেম্বরে সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী মাস থেকে প্রস্তুতির কাজ শুরু হবে। এখন তো ঈদের ব্যস্ততা চলছে। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর আমরা জানিয়ে দেবো, কারও যদি ঘোষণাপত্র বা গঠনতন্ত্রে সংশোধনীর প্রস্তাব থাকে, তাহলে সেটা লিখিত আকারে জানাবেন। তারপর কার্যনির্বাহী কমিটিতে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রস্তুতি তো এগিয়ে আছে। অধিকাংশ জেলা সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। এখন যেগুলো বাকি আছে, সেগুলো নভেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে। আগামী সভায় সম্মেলনের তারিখ ঠিক করা হতে পারে। তারিখ ঠিক হলে অন্যান্য প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে যাবে।
২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম যেসব সংগঠনের কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, সেসব কমিটির সম্মেলনের প্রক্রিয়াও দ্রুতই শুরু হবে বলে জানা গেছে। আগামী ৬ নভেম্বর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (সাচিব) সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য সংগঠনের সম্মেলনের তারিখও অচিরেই ঠিক করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২২ ঘণ্টা , সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৫
এসকে/এইচএ