ঢাকা: ৫ জানুয়ারি ‘প্রহসনের’ নির্বাচনের জন্য দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
‘পশ্চিমাদের সমর্থন পাওয়ার জন্য সরকার জঙ্গিবাদের যে ধুয়া তুলেছিল সেই ফাঁদে তারা নিজেই আটকা পড়েছে’ এমন মন্তব্যও করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জঙ্গি তত্ত্বের আবিষ্কার! সংকট ও পরিণতি, মুক্তি কোন পথে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে যে সমস্যা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ এর মূল কারণ হলো ৫ জানুয়ারির সেই প্রহসনের নির্বাচন। ’
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের বিকল্প স্বৈরতন্ত্র, আর স্বৈরতন্ত্রের বিকল্প জঙ্গিবাদ। জনগণকে যখন স্তব্ধ করে দেওয়া হয়, জনগণ যখন কথা বলতে পারে না তখন জঙ্গিবাদের উদ্ভব ঘটে, স্বৈরাচারী সরকারের উপর সেই জঙ্গিবাদ আঘাত হানে।
অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘যাদেরকে এক সময় বলা হতো জঙ্গিবাদের গডফাদার, তারাই কথায় কথায় বলে জঙ্গিবাদ, জঙ্গিবাদ। বিরোধী দলের সমস্ত নেতাকর্মীদের আন্দোলন ও দাবিকে তারা জঙ্গিবাদ বলেছে। যে ফাঁদ তারা সৃষ্টি করেছিলেন, পশ্চিমাদের সমর্থন পাওয়ার জন্য, আজ সেই ফাঁদেই তারা পড়েছেন। ’
তিনি বলেন, আজকে জঙ্গিবাদের হামলায় সারা বিশ্ব থেকে তারা (সরকার) বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন, তাদের ক্ষমতার আসন নড়েবড়ে হয়ে গেছে।
‘সরকার জঙ্গিবাদের ধুয়া তুলে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘অতীতে এমন ঘটনার মাধ্যমে কেউ টিকে থাকতে পারেনি, এ সরকারও টিকে থাকতে পারবেন। ’
খন্দকার মাহবুব আরও বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন, দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সব রকম চেষ্টা সম্পন্ন শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে, সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ’
২০ দলীয় জোটের শরীক ‘বাংলাদেশ জাতীয় দল’র আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জাগপার প্রধান শফিউল আলম প্রধান।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ সরকারকে জায়েজ করতে জঙ্গিবাদের খেলা শুরু করেছে সরকার। এর পরিণামে আজ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বাংলাদেশ আসতে অস্বীকার করেছে, এরপর ইতালিয়ান নাগরিক হত্যার শিকার হয়েছেন। ’
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ‘সিংহ’ উল্লেখ করে শফিউল আলম প্রধান বলেন, ‘চট্টগ্রামের সিংহ পুরুষ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আমাদের অন্যতম শরীক জামায়াতের নেতা আলী আহসান মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। এই ফাঁসির দড়ি শেষ হয়ে যাবে ও গুলিও শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ’
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপের সভাপতি জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা, জাতীয় পার্টির (জাফর) যুগ্ম মহাসচিব এ এস এম শামীম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৫
টিএইচ/আরআই