ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আওয়ামী লীগ দু’গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (০৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাগদী বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে ফরিদ হোসেন, মাসুদ, রবিউল, সৌরভ, এনায়েত, দাউদ, আনিস, আনু মোল্লা, লিটন, অহিদ, মোহাম্মদ আলী, রিপন, বাচ্চু, ইলিয়াস, হাবিব, আবু কালামসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০ জন আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে মাঝারদিয়া ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আফছার উদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো।
শুক্রবার (০২ অক্টোবর) স্থানীয় চার নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হবি মোল্লার নেতৃত্বে বিএনপির একটি গ্রুপ আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার জন্য উভয় পক্ষের নেতার কাছে প্রস্তাব দেয়। বিএনপির এই গ্রুপটি কোন পক্ষের নেতার হাত ধরে যোগ দেবেন এনিয়ে আফছার ও গিয়াস উদ্দিনের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত।
এর জের ধরে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দুই গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন এবং দেশিয় অস্ত্র ব্যবহার করেন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ। খবরে পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতের ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতাল ও নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য উপজেলা বিএনপির একটি গ্রুপ কাগদী বাজারে আসলে আমরা তাদের ধাওয়া করি। এ সময় আফছার উদ্দিনের সমর্থকেরা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
এদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা আফছার উদ্দিন বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে নেওয়ার জন্য গিয়াস আমার লোকজনের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বেধে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডি এম বেলায়েত হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে এ ঘটনায় কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৫
বিএস