ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রাবিতে ছিনতাইকালে ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ২

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৫
রাবিতে ছিনতাইকালে ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ২ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছিনতাইকালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাসহ দু’জনকে আটক করে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৭ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছিনতাইকারীদের মোটরসাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

আটক ছাত্রলীগ নেতা জনি আহমেদ ওরফে সজীব বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। আটক অপর ছিনতাইকারীর নাম রাজন। সে শহরের বুলনপুর এলাকার শফিকুল ইসলাম নান্টুর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের পাশে কয়েকজন শিক্ষার্থী বসেছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে সেখানে আসেন ছাত্রলীগ নেতা জনি ও রাজন। এ সময় তারা পাশের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ধমক দিয়ে সরিয়ে দিয়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন। নিজেদের ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে তারা ‘সার্স করতে হবে’ বলে শিক্ষার্থী দু’জনের ব্যাগ থেকে দুই হাজার সাতশ’ টাকা ও দু’টি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়।

এগুলো নিয়ে তারা চলে যেতে উদ্যত হলে এক শিক্ষার্থী একটু দূরে ফুটবল খেলতে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ডাক দেন। তারা দৌড়ে এসে ছিনতাইকারীদের আটক করে পিটুনি দেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ছিনতাইকারীদের গাড়িতে তোলে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছিনতাইকারীদের মারতে নিলে এক শিক্ষার্থীর লাঠির বারি পুলিশের গাড়িতে লাগে। এ সময় চার-পাঁচজন পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটায়। রফিক সানি নামের ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী।

ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কোনো সদস্য উপস্থিত হন নি। পরে পুলিশ ছিনতাইকারীদের থানায় নিয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছিনতাইকারীদের মোটরসাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিভায়।

এ ব্যাপারে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবীর বলেন, তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি।

এ ব্যাপারে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান ফোন রিসিভ করেন নি।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা বলেন, ছাত্রলীগ কোনো অন্যায় সহ্য করেনা, করবেও না। অভিযুক্তকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।