ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নিশিরাতের বৈঠকে তারা একমত হতে পারেননি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
নিশিরাতের বৈঠকে তারা একমত হতে পারেননি খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম/ছবি: রানা

ঢাকা: খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি যে স্ট্যান্ডবাজির ও ধাপ্পাবাজির ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করার কথা, জানা গেছে নিশিরাতের বৈঠকে তারা নিজেরাই একমত হতে পারেননি।

বুধবার (১০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘হাওর অঞ্চলের মানুষের আর্তনাদ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও কৃষিবিদ ড. নিয়াজউদ্দিন পাশার স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরই হাওরে বন্যায় কিছু ফসলেল ক্ষতি হয়।

এবার একটু বেশিই হয়েছে। তবে, যারা হাওরে দুর্গত মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে হাওরকে দুর্গত অঞ্চল ঘোষণার দাবি জানাচ্ছেন, তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই।

তিনি বলেন, এনজিও এবং খালেদা জিয়া হাওর অঞ্চলে ত্রাণও দিতে যাননি, তাদের পাশেও দাঁড়াননি। ঢাকার শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে শুধুই দুর্গত অঞ্চল ঘোষণার দাবি জানাচ্ছেন।

চলতি বছরে কিছুটা খাদ্য সংকট হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে চাল আমদানি শুরু করেছি। কোনো ধরনের সংকট তৈরি হবে না। তবে, হাওরে ফসলের কারণে দেশে ব্যাপক খাদ্য সংকট দেখা দেবে বলে এক ধরনের ব্যবসায়ীরা জনগণকে জিম্মি করতে চাইছে। তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া বুধবার বিকেলে যে রূপকল্প ২০৩০ ঘোষণা করবেন, সেটা ধাপ্পাবাজি আর বাটপারি ছাড়া কিছুই নয়। এসব করে জনগণকে কাছে পাওয়া যাবে না। নিশিরাতের বৈঠকে তারা নিজেরাই একমত হতে পারেননি।

বিএনপির রূপকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ে নিয়ে যেতে চায়। অথচ ২০২১ সালের মধ্যেই আওয়ামী লীগ দেশকে মধ্যম আয়ে নিয়ে যাবে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে দেশ উন্নত হিসেবে গণ্য হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক হাওরের অবস্থা তুলে ধরে বাঁধ নির্মাণ এবং সুনামগঞ্জ থেকে ভৈরব পর্যন্ত নদী খননের সুপারিশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
এমএন/ওএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।