ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘জামায়াতকে সঙ্গে রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা কিভাবে?’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
 ‘জামায়াতকে সঙ্গে রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা কিভাবে?’ গোলটেবিলে বক্তব্য দেন মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা

ঢাকা: জামায়াত সম্পর্কে বিএনপির ‘ভিশন ২০৩০’ এ সুস্পষ্ট বক্তব্য থাকা দরকার ছিলো উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, তাদেরকে সঙ্গে রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা দেওয়া কিভাবে সম্ভব? এটি আরো পরিষ্কার হওয়া উচিত।

রোববার  (১৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপিপন্থী সংগঠন ‘সেন্টার ফর ন্যাশনাল অ্যান্ড রিজিওনাল রিসার্চ স্ট্যাডিজ’  আয়োজিত ‘ভিশন অব বিএনপি-২০৩০ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি।  
 
গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ড. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।


 
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ভিশন-২০৩০ এ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা তৈরি করবে এবং তাদের যথাযথ মর্যাদা দেবে’।
 
‘কিন্তু একটি বিষয় এখানে পরিষ্কার নয়। জামায়াতকে সঙ্গে রেখে বিএনপি কিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ও মর্যাদা দেবে? সে বিষয়টি ভিশন-২০৩০ এ উল্লেখ নেই। শুধু এটুকু বলছি, এ ব্যাপারে একটি পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন ছিলো’- বলেন মান্না।
 
তিনি বলেন, ‘বিএনপি হয়তো বলবে, জামায়াতের নিবন্ধন নেই। তারা আর কি করবে? কিন্তু দুই তিন বছর পর বিএনপি যদি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে, তখন তো আদালতে মামলা করে দেবে জামায়াত। মানবতাবিরোধী অপরাধে যাদের সাজা হয়েছে, তাদের পুনর্বিচার দাবি করবে। তখন বিএনপি কি করবে?’
 
আমেরিকায় অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের জের ধরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগ করা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমি বিব্রত করার জন্য বলছি না। বিএনপির চেয়ারপারসনের কাছে আমরা একটি ভিশন চাচ্ছি। যেখানে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির ভবিষ্যৎ সম্পর্ক কেমন হবে, সে বিষয়টি পরিষ্কার উল্লেখ থাকতে হবে’।
 
পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তৃতায় বলেন, ‘একটি বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার। জামায়াতসহ ২০ দলের যে ঐক্য- সেটি সম্পূর্ণভাবেই আন্দোলন কেন্দ্রিক। ২০ দলের মেনুফেস্টো বা ঘোষণাপত্র দেখলেই বিষয়টি বোঝা যায়’।
 
তিনি বলেন, ‘২০ দল গঠন করার সময় গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছিলো, আওয়ামী লীগের একনায়কতন্ত্র, ফ্যাঁসিবাদ ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলন সৃষ্টি করাই হচ্ছে ২০ দলের লক্ষ্য। সুতরাং, ২০৩০ সালে জামায়াতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কি হবে, সেটি নিয়ে ভিশন-২০৩০ এ কথা বলার অবকাশ নেই’।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
এজেড/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।