ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কেশবপুরে আ'লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ৭

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
কেশবপুরে আ'লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ৭

যশোর: যশোরের কেশবপুরে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির জের ধরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছে।

রোববার (১৪ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার পাঁজিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান ইনতাজ গাজী, ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আবু সাঈদ লাভলু, যুবলীগ কর্মী শহিদুল ইসলাম, সুমন হালদার, মোহাম্মদ রফিক, জহুরুল হক ও অজ্ঞাত এক যুবদল কর্মী।

আহতদের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও আহত বিএনপি ও যুবদল নেতা স্থানীয় পাঁজিয়া বাজার থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

পাঁজিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, বাজার কমিটির অনুমতি না নিয়েই বিএনপি কর্মী সভার আয়োজন করে। রাতে কর্মী সভা চলাকালে বিএনপি নেতা আবু বকর আবু, সাবেক চেয়ারম্যমান মকবুল হোসেন মুকুল ও ইনতাজ গাজী প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় বক্তব্য শুরু করে। প্রকাশ্যে বাজারে এ বক্তব্য শুনে যুবলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ভাষা পরিবর্তনের আহ্বান জানালে উভয় পক্ষ উত্তেজিত হয়ে সংঘর্ষ শুরু করে। এতে যুবলীগের পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হয়।

কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম রায় বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপি নেতা আবু বকর আবু ক্ষমতাশীল দলের স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির সঙ্গে আঁতাত করে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাকর্মী নির্যাতন করে আসছেন। তবে শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করায় যুবলীগ নেতারা পাল্টা জবাব দেয়ায় এ সংঘর্ষ হয়।

যশোর জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও কেশবপুরের মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর আবু বাংলানিউজকে বলেন, পাঁজিয়া বাজারে পূর্ব নির্ধারিত কর্মী সমাবেশ চলছিল। এ সময় তিনি স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের বিভাজন মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে যোগ দেওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন, এরই মধ্যে যুবলীগ নেতা লাভলুর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন যুবক অতকর্তিতভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে। এতে ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ইনতাজ গাজী ও এক যুবদল নেতা আহত হয়।
এ বিষয়ে জানতে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুল ইসলামের সরকারি মোবাইল ফোনে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ আবু সরোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না, তবে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২২৪ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
ইউজি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।