ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ভিশন ২০৩০ এর প্রস্তাবকরা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
ভিশন ২০৩০ এর প্রস্তাবকরা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করে ভিশন ২০৩০ প্রস্তাবকরা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করে

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, যারা নতুন করে ভিশন-২০৩০ প্রস্তাব করে, তারা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করে।

আমরা এরই মধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছি। ২০২১ সালে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো।

২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

সোমবার (১৫ মে) বিকেল ৫টার দিকে কেরানীগঞ্জ উপজেলার নেকরোজবাগ মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন। সে সময় তিনি হিজবুল বাহার নামে এক প্রমোদতরীতে মেধাবী ছাত্রদের নিয়ে প্রমোদ বিহারে যান। সেখানে গিয়ে তিনি ছাত্রদের হাতে তুলে দেন মাদক ও অস্ত্র। সে থেকেই এদেশে মাদক বিস্তার লাভ করেছে।

পুলিশ বাহিনী আমাদের গর্ব। ’৭১ এ হানাদার বাহিনীর বিপক্ষে তারাই প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সামাজিক অপরাধ দমনে সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কমিউনিটি পুলিশিং সেল এ সমাবেশের আয়োজন করে।

এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান। সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন- ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপরাধ) মাহবুবুর রহমান, ঢাকা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, ঢাকা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহে এলিদ মাইনুল আমীন।

সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ জুবায়ের।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম, কালিন্দী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন, বাস্তা ইউপি চেয়ারম্যান আশকর আলী, তারানগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ফারুক, কলাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তাহের আলী প্রমুখ।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে সব অপরাধ দমন সম্ভব নয়। সাধারণ অপরাধ দমনের জন্য আমাদের যথেষ্ট পুলিশ সদস্য রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ যেমন নারী নির্যাতন ও মাদক দমনে কমিউনিটি পুলিশংয়ের প্রয়োজন রয়েছে।

ঢাকা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, অনেকেই মনে করেন জনগণের সঙ্গে পুলিশের আস্থার সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। এ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হলে দুটো পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে।

জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা এগিয়ে আসুন, দেখবেন আমাদের আন্তরিকতার অভাব থাকবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, কেরানীগঞ্জে প্রায় ২৫ লাখ লোকের বসবাস। কেবল দুই থেকে আড়াইশ’ পুলিশ দিয়ে এ এলাকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। ফলে অপরাধ, জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মাদক নির্মূল হলে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ অপরাধ কমে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।