ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

চ্যারিটেবলেও আদালত পরিবর্তন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২১ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
চ্যারিটেবলেও আদালত পরিবর্তন

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও বিচারিক আদালত পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার মতোই এ মামলার বিচারিক কার্যক্রমও ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে চলবে।

প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর করে বুধবার (১৭ মে) এ আদেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

সোমবার (১৫ মে) আদালত পরিবর্তনের আবেদন দাখিল করেন খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ভূঁইয়া।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, আইন অনুসারে ৬০ দিনের মধ্যে এ মামলা নিষ্পত্তিরও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

গত রোববার (১৪ মে) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আদালত পরিবর্তন করে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে বিচারিক কার্যক্রমের আদেশ দেন হাইকোর্ট।

চ্যারিটেবল মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের অস্থায়ী আদালতে। প্রধান আসামি খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য রয়েছে আগামী ২৫ মে। গত বছরের ০১ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য পড়তে শুরু করেন খালেদা।

এর মধ্যে বিচারকের প্রতি অনাস্থার আবেদন জানান খালেদা জিয়া। গত ১৩ এপ্রিল আবেদনটি খারিজ করে দেন বিচারিক আদালত।

জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এ আদালতেই চলছিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাও। অনাস্থার পর আদালত বদলের আদেশ দেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে আদালত বদলও হয়েছিলো। এক  মামলায় যেহেতু আস্থা নেই, সুতরাং অন্য মামলায়ও আস্থা থাকার কথা নয়।   তাই চ্যারিটেবল মামলায়ও আদালত বদল চান খালেদা জিয়া।  

চ্যারিটেবল মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ঢাকা তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের আগের বিচারক বাসুদেব রায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।