নির্বাচনী বছরের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর এ সফর রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনীতিকরা। প্রধানমন্ত্রীর সফর সফল করে তুলতে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
আওয়ামী লীগ সরকার বরিশাল অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে, তাই এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষের ঢল নামবে বলেই মনে করছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
এদিকে একইদিনে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণা হবে। রায় পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বরিশাল বিএনপির প্রস্তুতি ও কর্মসূচি বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা ও চেয়ারপারসনের সিলেট সফরকে ঘিরে বরিশাল বিএনপির সিনিয়র নেতাদের অনেকেই বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ছাত্রদল-যুবদলের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতাও খালেদা জিয়ার সিলেটের সফরসঙ্গী হয়ে বরিশালের বাইরে রয়েছেন।
অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, ৮ ফেব্রুয়ারি রায়কে ঘিরে কোনো অপতৎরতার চেষ্টা চালালে তা বরদাস্ত করা হবে না। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরির সুযোগও দেওয়া হবে না কাউকে।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা পুলিশের সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বরিশালে ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে গোটা বরিশালজুড়েই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। বাইরের জেলা থেকেও পুলিশের সদস্যদের আনা হচ্ছে। কোনো ধরনের আশঙ্কা আমাদের নেই। প্রধানমন্ত্রীর বরিশাল সফর ও জনসভা সুন্দরভাবেই সম্পন্ন হবে।
ওই দিন বিএনপি চেয়ারপারসনের রায়কে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা গোটা বরিশালে ঘটতে দেওয়া হবে না বলেও জানান পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেন, বিএনপি-জামায়াত আগুন দিয়ে, বোমা মেরে, পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে সন্ত্রাস করে। কয়েকদিন আগে হাইকোর্টের সামনে থেকে পুলিশের ওপর হামলা করে প্রিজন ভ্যান থেকে আসামিদের ছিনিয়ে নিয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, আমরা মনে করি, বিএনপি যতই হুংকার করুক তারা ওই দিন কোন প্রকার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারবে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
মঙ্গলবার দুপুরে বরিশালের জনসভাস্থল পরিদর্শনকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রাচীন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের শক্তি ও ভিত্তি রয়েছে। রায় নিয়ে দেশে গোলযোগ ও সাধারণ মানুষের জীবন ব্যাহত করার চেষ্টা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ওপর হামলা হলে আওয়ামী লীগ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
এমএস/এমজেএফ