বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে মোড়ে-মোড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি জোরদার করা হয়েছে র্যাবের টহল।
রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার আশঙ্কায় রাজশাহী জুড়েই নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। যাতে করে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। এজন্য নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীকেও আটক করা হচ্ছে।
এদিকে, খালেদার রায় ঘোষণাকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মিছিল-সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু ঢাকায় ওই দিন মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও রাজশাহীতে বিকেলে পর্যন্ত মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। তবে বিস্ফোরক দ্রব্য, দাহ্য পদার্থ, লাঠি-সোটা বহন, পটকা-আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ করেছে।
এছাড়া রায়কে কেন্দ্র করে যদি অস্থিতিশীল কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয় তবে নেতাকর্মীদের নিয়ে তা মোকাবেলা করার কথা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। এজন্য তাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির দফতর সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মহানগরীর ভুবনমোহন পার্কসহ গুরুত্বপূর্ণস্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বাংলানিউজকে বলেন, খালেদা জিয়ার রায়ের দিন রাজশাহী মহানগরীর মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়নি। তবে বৃহস্পতিবারের রায়কে কেন্দ্র করে মহানগর পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এরই মধ্যে মহানগরীর প্রবেশ মুখগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহজনক যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা নেই। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে বলেও জানান মহানগর পুলিশের এই মুখপাত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
আরআইএস/