শুক্রবার (২৩ ফেরুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল গণি হাওলাদারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আসাদুল্লাহ পাথরঘাটা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও মো. আলো হাওলাদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. রিয়াজসহ অনেকে জানান, পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল গণি হাওলাদারের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে আসাদুল্লাহ নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা সোহাগ বাহিনীর প্রধান সোহাগ ওরফে আতুর সোহাগ ও সহযোগী রুবেল ধারালো ছুরি নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কোপালে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় সন্ত্রাসীরা আসাদুল্লাহর ডান পায়ের রগ কেটে দেয়।
ঘটনার সময় কুলখানির অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজন দিকবিদিক ছুটাছুটি করলে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
তবে অবস্থার অনবতি হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
আসাদুল্লাহর ভাই মো. হাসান জানান, অনেক আগ থেকেই সোহাগ বাহিনী আসাদুল্লাহর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. আনোয়ার উল্লাহ বলেন, আহত যুবকের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবীর আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে আহত আসাদুল্লাহকে দেখে এসেছি। সন্ত্রাসী সোহাগের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় একাধিক মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ