বর্ণনা শুনেই এতক্ষণে সবাই টের পেয়েছেন রাজশাহীর দুই হেভিওয়েট নেতা মিনু-লিটনের কথা। হ্যাঁ, বাস্তবেও তাই।
তবে এই পাশাপাশি বসা কোনো রাজনৈতিক সমঝোতায় নয়। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে নিজ বাসায় বিশ্রামে থাকা মিনুকে সচক্ষে দেখতে ও চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতেই গিয়েছিলেন লিটন।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যখন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার বক্তৃতায় মিনুর ‘দুর্নীতি’র বিচার করা হবে বলে ঘোষণা দিলেন। ঠিক এর একদিন পরই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মিনুকে দেখতে তার বাড়িতে গেলেন লিটন।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহানগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকায় থাকা মিনুর বাসভবনে গিয়ে তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন তিনি। সেখানে তার পাশে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থানও করেন।
আহত সাবেক মেয়রকে দেখতে যায়ওয়ার ঘটনাটি তাই রাজনৈতিক সৌহার্দ ও সম্প্রীতি বলেই দেখছেন নগরবাসী।
এ সময় মিনুর শারীরিক ও চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য নাইমুল হুদা রানা, উপ-প্রচার সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ লেমন, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিবসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হলে শনিবার সকাল থেকেই মিজানুর রহমান মিনুর বাসভবনে ভিড় জমান তার দলীয় নেতাকর্মীরাসহ অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
এর আগে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মহানগরীর সাধুর মোড় এলাকায় অটোরিকশা উল্টে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র ও এমপি মিজানুর রহমান মিনু আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনায় তার কপালে তিনটি সেলাই পড়ে। তবে সেলাই শেষে তিনি সুস্থতাবোধ করায় হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় চলে যান মিনু।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
এসএস/এমজেএফ