ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দেশসেরা হাসপাতালে চিকিৎসা পাচ্ছেন খালেদা জিয়া: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
দেশসেরা হাসপাতালে চিকিৎসা পাচ্ছেন খালেদা জিয়া: তথ্যমন্ত্রী বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসায় সরকার অত্যন্ত আন্তরিক বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, দেশে অনেক হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু সেখানে না রেখে সরকারিভাবে দেশের সেরা হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

‘বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল মেডিক্যাল শিক্ষায় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। দেশের সমস্ত প্রতিথযশা চিকিৎসকেরা এর সঙ্গে সংযুক্ত। এখানে কোয়ালিটি চিকিৎসা হয়। ’

শনিবার (২৬ অক্টোবর) নগরের দেওয়ানজী পুকুর লেন এলাকার বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুক্রবার তার বোনসহ আত্মীয়-স্বজনেরা দেখা করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে খালেদা জিয়াকে কোনো চিকিৎসক দেখতে যাননি। কিন্তু এটি মিথ্যা।

‘আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, বেগম জিয়াকে ডিউটি ডাক্তাররা নিয়মিত চেকআপের মধ্যে রেখেছেন। সিনিয়র ডাক্তাররাও তাকে এক-দুই দিন পরপর দেখতে যান। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। তার শরীরের অবস্থা বেশ কিছুদিন ধরে স্ট্যাবল। ’

খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যথা বেশ পুরনো মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ সমস্যা নিয়েই তিনি দুইবার দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপির মতো একটি বড় দলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্বও পালন করেছেন।

‘হাঁটুর এ সমস্যা তেমন বড় সমস্যা নয়। এ ধরনের সমস্যা প্রায় সব মানুষের মধ্যে থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেগম জিয়ার এ সমস্যাটি একটু বেড়েছে। কিন্তু তার স্বাস্থ্য বেশ কিছু দিন ধরে স্ট্যাবল রয়েছে। যেটি চিকিৎসকেরা আমাকে জানিয়েছেন। ’

চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কথা এসেছে। কিন্তু তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে হলে তো প্রথমে তার জামিন নিতে হবে। এরপর আদালতের অনুমতি লাগবে।

‘স্বজনেরা তাকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে পারবেন কী না, তিনি জামিন পাবেন কী- পাবেন না, এসব আদালতের বিষয়। আদালত যদি তাকে জামিন দেয়, বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়, তবেই তার বিদেশ যাওয়ার প্রসঙ্গটি আসবে। সরকার এখানে হস্তক্ষেপ করবে না। ’

তিনি বলেন, আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক যখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তখন এই হাসপাতালেই তিনি চিকিৎসা নেন। তাকে দেখতে সিঙ্গাপুর থেকে, ভারত থেকে বিখ্যাত ডাক্তাররা এসেছিলেন। তারা বলেছেন, সিঙ্গাপুর বা ভারতে নিয়ে গেলে যে চিকিৎসা তিনি পেতেন, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে সে চিকিৎসাই দেওয়া হয়েছে।

‘বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যদি চিকিৎসাই না হয়, তাহলে বেগম জিয়াকে যখন কারাগারে ফেরৎ নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ আসে, তখন বিএনপি নেতারা সেটার বিরোধিতা করেন কেনো? এটি আমার প্রশ্ন। ’ 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মিথ্যা বলে বিএনপি নেতারা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য সহানুভুতি আদায়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু সেটি করতে গিয়ে তারা বেগম জিয়াকে অসম্মানিত করছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আদালতের রায়ে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামী। কোনো দুর্নীতিবাজকে সরকার সহায়তা করতে পারে না। তাই খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে সরকারের কিছু করার নেই। আদালতের মাধ্যমেই তাকে মুক্তি পেতে হবে।

তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার অত্যন্ত কঠোর। প্রধানমন্ত্রী নিজ দলের মধ্যেই শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করছেন। এখানেও অনেক অভিযোগ এসেছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থা এসব অভিযোগ যাচাই করছে। প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড়া হবে না। যেই দলই সে করুক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।