সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য সারাদেশে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত আছে।
প্যারোলের আবেদন ও পরিবারের দেওয়া চিঠির বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে অবগত নই জানিয়ে রিজভী বলেন, যখন জানতে পারবো তখন অবশ্যই আপনাদের জানাবো। তার স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে আমরা বারবার তুলে ধরছি। তার অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। সেজন্য আমরা এই মুহূর্তে তার মুক্তি দাবি করছি।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারতের নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে অর্ধেক মানুষ বাংলাদেশ ছেড়ে দেবে’। ভারতীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্য কাণ্ডজ্ঞানহীন ও বাংলাদেশের জনগণের জন্য লজ্জার-অপমানজনক। লাখো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে, অসংখ্য মা বোনের সম্মান-সম্ভ্রমের বিনিময়ে ৭১ সালে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলাম পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার আশায় নয়। অথচ বাংলাদেশের জনগণ সম্পর্কে ভারত সরকারের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পরও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো রকমের প্রতিবাদ জানানো হয়নি।
তিনি আরও বলেন, গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কে ভোট দিল, কে দিল না তা বিবেচনা করে না আওয়ামী লীগ'। এই বক্তব্যের মাধ্যমে শেখ হাসিনা প্রকাশ্যেই স্বীকার করে নিলেন, তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য কিংবা সরকার গঠনের জন্য দেশের জনগণ কিংবা জনগণের ভোটের প্রয়োজন হয় না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
এমএইচ/এএ