২০১০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সেনানিবাসের মঈনুল রোডের বাসভবন ছেড়ে গুলশানে ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের বাসায় ওঠেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। ওই বছরই গুলশান ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর ‘ফিরোজা’ নামের এ বাড়িটি ভাড়া নেন খালেদা জিয়া।
২ বছর ১ মাস পর আবার সেই বাড়িতেই উঠতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এতদিন ওই বাড়িতে গৃহকর্মী ছাড়া আর কেউ বসবাস করেননি। তবে তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলী রহমান সিঁথি মাঝে মধ্যে লন্ডন থেকে ঢাকায় এলে উঠতেন ওই বাড়িতে।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবাদ সম্মেলনে জানান, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে ৬ মাসের জন্য তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তার এ ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, গুলশান কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নড়েচড়ে বসেন। যারা এতদিন ঝিমিয়ে পড়েছিলেন, তাদের ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আদৌ জীবিত অবস্থায় নিজ বাসায় ফিরতে পারবেন কিনা এমন চিন্তায় ছিলেন তারা সবাই চাঙ্গা হয়ে যান। শুরু হয় ধোয়ামোছার কাজ। রাত ১১টা নাগাদ অনেকটা প্রস্তত হয়ে যায় বাড়ি।
জানতে চাইলে চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান রাত ১১টার দিকে বাংলানিউজকে বলেন, বাড়ি রেডি আছে। বাড়িতে ম্যাডামের সিএসএফ (চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স) সদস্য ও তার সঙ্গে যারা থাকতেন তারা আছেন।
খালেদা জিয়া কখন নাগাদ বাসায় ফিরতে পারেন জানতে চাইলে শায়রুল কবির বলেন, সেটা এখনই বলতে পারছি না। তবে আজ রাতে না হলে কালকে তিনি বাসায় ফিরতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
এমএইচ/আরবি/