শনিবার (২ মে) সকালে ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের উদ্যোগে উত্তরখান থানায় ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ও খরের পালার মধ্যে চাল, খাটের মধ্যে তেল পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের অন্যায় অনিয়মের প্রতিবাদ করলে সমস্যা। করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যবস্থাপনা অপ্রতুল। মুগদা জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ ধরনের একটা সত্য কথা বলাতে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অনেক ডাক্তারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ করোনায় বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ’
এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের এ মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা করে রিজভী বলেন, ‘সরকারের ত্রাণ বিএনপির নেতা-কর্মীরা না পেয়েও নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী পকেটের টাকায় অসহায়, গরিব, দিন আনে দিন খায় এমন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রতিদিনই তাদের হাতে ত্রাণ তুলে দিচ্ছেন। ঢাকা-১৮ আসনে এসএম জাহাঙ্গীর প্রতিদিনই অসহায় মানুষদের সহায়তা করছেন। তার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। ’
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বিশ্বে ২১০টি দেশে করোনা মহামারি ছড়িয়েছে। এ রকম মহামারি আমরা কখনো দেখিনি। গল্পও শুনিনি। এ রকম পরিস্থিতিতে সরকারের যে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার ছিল তা সরকার গ্রহণ করেনি। তারা নিজেদের অন্য কাজে ব্যস্ত ছিল। প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের লকডাউন আগে করা উচিত ছিল। বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া দরকার ছিল। আগাম প্রস্তুতির কারণে ভিয়েতনাম, ভুটানসহ অন্য দেশে করোনায় আক্রমণ ঘটাতে পারেনি। আমাদেরও যথেষ্ট সময় ছিল কিন্তু সরকার অন্য জায়গায় মনোযোগ দেওয়ায় দেশে এখন মহামারি আকার ধারণ করছে। কোটি কোটি মানুষের জীবন বাঁচাতে সরকার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রতিদিন ব্রিফিং করে যে তথ্য দেয় এ তথ্য সঠিক নয়। করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার আরো বেশি। ’
রিজভী বলেন, ‘বলা হচ্ছে মাস্ক চীন থেকে আনা হচ্ছে। কিন্তু শোনা যাচ্ছে এটি কেরানীগঞ্জে তৈরি করে চীনের নাম দেওয়া হচ্ছে। এ মাক্স ত্রুটিযুক্ত। এসবের সঙ্গে সরকারের মন্ত্রীর ছেলে, আত্মীয় স্বজনেরা জড়িত। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। একটা জবাবদিহিমূলক সরকার থাকলে এ রকম হতো না। ভোটারবিহীন সরকার অগণতান্ত্রিক সরকার থাকলে এসব অন্যায় করা সম্ভব। গণবিরোধী কাজ করা সম্ভব। ’
ঢাকা মহানগর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিনই অসহায়, দুস্থ, দিন আনে দিন খায় এমন মানুষদের ত্রাণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ’
এসময় উপস্থিত ছিলেন- উত্তরখান থানা বিএনপির সভাপতি আহসান উদ্দিন আহসান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর বেপারী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোতালেব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ নুরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকুল সরকার, উত্তরখান থানা যুবদলের সভাপতি রোস্তম আলী, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, উত্তরখান থানা ছাত্রদলের সভাপতি আনোয়ার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আশাদুল হক শুভ, উত্তরখান থানা শ্রমিক দলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২০
এমএইচ/আরবি/