সিলেট: আগামী ২৫ ডিসেম্বর সিলেটে আসার কথা ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অপসারণের হুমকিদাতা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক। কিন্তু তার আগমনকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে সিলেটে।
এ বিষয়ে সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মৌসুমী মাহবুব বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতির মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়েছেন। তবে অফিশিয়ালি জানেন না বা কেউ অনুমতি নেয়নি। তাছাড়া এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক আসছেন না বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অনুমতি ব্যতিরেকে জলসায় মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের আসার সুযোগ নেই। এরপরও যদি আসেন, তাহলে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিয়ানীবাজার উপজেলার জামিয়া দ্বীনিয়া আসআদুল উলুম রামধা মাদরাসার ৭১তম বার্ষিক জলসায় প্রধান অতিথি হিসেবে মামুনুল হক উপস্থিত থাকবেন এমন প্রচারণা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে আক্রমণাত্মক ভাষায় বক্তৃতা দেওয়ার পর এ নিয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার আবেদন আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে।
এছাড়াও, গত সেপ্টেম্বরে হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমাদ শফীর বিরুদ্ধে আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসায় ছাত্র বিক্ষোভে উসকানি ও মহাসচিব পদ ছাড়তে বাধ্য করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৭ ডিসেম্বর হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমিরের মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে মামুনুল হকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে মামলার আবেদন করেছেন আহমদ শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। উভয় ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২০
এনইউ/এইচএডি