ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘জিয়ার সমাধি সংসদ এলাকা থেকে সরানো হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২১
‘জিয়ার সমাধি সংসদ এলাকা থেকে সরানো হবে’ ডা. মুরাদ হাসান

ঢাকা: জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা হতে জিয়ার সমাধি সরানো হবে ও খুনি জিয়ার নামে চট্টগ্রামে স্মৃতি জাদুঘর থাকবে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।  

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এবং সাজাপ্রাপ্ত তার ছেলে তারেক এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

তারেক লন্ডনে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। কুমিল্লায় পুজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার পরিকল্পনাকারী তারেক ও বিএনপির নেতারা। তারেক গংরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া। এই তারেক গংদের বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিতাড়িত করতে হবে। ।

রোববার (০৮ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপির অভ্যুদয়। পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান বহু সৈনিক ও অফিসারের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন। সিপাহী বিপ্লবের নামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হুদা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হায়দারসহ বহু সৈনিক ও অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। সিপাহী বিপ্লবের নামে সেদিন জিয়া মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা করে একটি রক্তাক্ত ইতিহাসের জন্ম দেয়।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৃশংসভাবে সপরিবারে নিহত হওয়ার পরে খুনি মোশতাক নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। খুনি মোশতাকের নেপথ্যে ছিল ১৫ আগস্টের মূল খুনিরা। বিগ্রেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশারফ মোশতাকের রাষ্ট্রপতি হওয়া মেনে নিতে পারেন নাই। তিনি তার অনুগতদের নিয়ে ৩ নভেম্বর মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যূত্থান ঘটান এবং মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি করেন। বন্দি দশায় জিয়া ফোন করে কর্নেল তাহেরকে বলেন “সেভ মাই লাইফ”। সেদিন কর্নেল তাহের জিয়াকে বন্দি দশা থেকে মুক্ত করেন। বন্দি দশা থেকে মুক্ত হয়ে খালেদ মোশারফকে ওই দিনই হত্যা করে জিয়া।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ৭ নভেম্বর এর বিপ্লবের কারিগর ছিলেন কর্নেল তাহের। এই বিপ্লবের ফলে ক্ষমতায় বসে খুনী জিয়াউর রহমান। জিয়া শুধু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করাই নয়, সেই ক্ষমতা নিষ্কণ্টক রাখতে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অফিসার হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছিলেন।

তিনি বলেন, এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশের মালিক তারা। আমি ডা. মুরাদ হাসানের মতো লক্ষ কোটি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শেখ হাসিনার জন্য জীবন উৎসর্গ করতে সদা প্রস্তুত।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রীকে সম্প্রতি সময়ে মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে সাহসী বক্তব্য রাখার জন্য বিশেষ সম্মননা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সম্প্রতি বাংলাদেশের সদস্য- সচিব,অধ্যাপক ডা. মামুন মাহতাব স্বপ্নিল, ভাস্কর শিল্পী রাশা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।