ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘চাপাবাজ সরকারের দেশ চালানোর টাকা নেই’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২১
‘চাপাবাজ সরকারের দেশ চালানোর টাকা নেই’ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘বর্তমান চাপাবাজ সরকার যত উন্নয়নের কথা বলুক তাদের কাছে দেশ চালানোর টাকা নেই। ঋণ নিয়ে ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করে দিয়েছে।

বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে শহীদ নূর হোসেনের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য এই স্মরণসভার আয়োজন করেন।

ড. মোশাররফ বলেন, ধাপ্পাবাজ-চাপাবাজ সরকার কত উন্নয়নের কথা বলছে। অথচ সরকার চালানোর জন্য তাদের কাছে টাকা নাই। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ঋণ নিয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাংকগুলো প্রায় দেউলিয়া হয়ে গেছে। আপনারা দেখেছেন এই সরকার বিদ্যুতের মূল্য কতবার বৃদ্ধি করেছে। গ্যাসের মূল্য এমনকি পানির মূল্যও বৃদ্ধি করেছে। আজকে ডিজেল-কেরোসিনের একধাপে ১৫ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হলো। কখনো কোনো দেশে এভাবে ২৩ থেকে ২৫ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি করার কোনো নজির নেই।

তিনি বলেন, আজকে গায়ের জোরের প্রধানমন্ত্রী সাহসের কথা বলে, অস্তিত্বের কথা বলে। আমি বলতে চাই বিএনপির যদি অস্তিত্ব না থাকতো তাহলে গত নির্বাচনে ৩০ ডিসেম্বরের ভোট আগের রাতে ডাকাতি করলেন কার ভয়ে বিএনপির ভয়ে, জনগণের ভয়ে। আর আপনি এখন বলছেন, অস্তিত্ব নিয়ে আমাদের নাকি সংকট। আমি বলতে চাই, আজকের প্রধানমন্ত্রী গায়ের জোরের প্রধানমন্ত্রী, নিশি রাতের প্রধানমন্ত্রী। আপনি প্রশাসন, পুলিশ ছাড়া আওয়ামী লীগ নিয়ে মাঠে আসেন, তখন দেখা যাবে অস্তিত্ব বিএনপির আছে না আওয়ামী লীগের আছে। আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব নাই। প্রধানমন্ত্রী এবং সরকার আজকে পরিচালনা করছে প্রশাসন এবং পুলিশ বাহিনী।

জিয়াউর রহমানকে যেদিন চট্টগ্রামে হত্যা করা হয়েছিল সেদিন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বর্ডার থেকে বিডিআর সদস্যরা ধরে এনেছিল দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনি সাহসের কথা বলেন। জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হলো চট্টগ্রামে আর আপনাকে আনা হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বর্ডার থেকে। আপনি সেখানে কী করছিলেন?

ড. মোশাররফ আরও বলেন, নূর হোসেন যে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে শহীদ হয়েছিল, আজকে সেই স্বৈরাচার আপডেট হয়ে ফ্যাসিবাদী সরকার হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ তার ওপরে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে লুটতরাজ, দুর্নীতি, এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি করেছে যে, মানুষের বেঁচে থাকা অত্যন্ত কঠিন। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার এটা নিয়ন্ত্রণ করছে না। কারণ এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট জড়িত। অতএব তারা তো এটার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেবে না।

ডাকসুর সাবেক ভিপি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ফজলুল হক মিলনের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সাবেক ছাত্র নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, খন্দকার লুৎফর রহমান, জহির উদ্দিন স্বপন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুদ্দিন মনি, নাজিম উদ্দিন আলম, আজিজুল বারী হেলাল, কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশারফ হোসেন, আসাদুর রহমান খান,  শহীদুল ইসলাম বাবুল, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবীব, আকরামুল হাসান ও ইকবাল হোসেন শ্যামল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২১ 
এমএইচ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।