ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নৌকা প্রত্যাশীর তালিকার শীর্ষে ধর্ষণ মামলার আসামি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২১
নৌকা প্রত্যাশীর তালিকার শীর্ষে ধর্ষণ মামলার আসামি বক্তব্য রাখছেন ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকার প্রথমে ধর্ষণ মামলার আসামিকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার ৪ নম্বর বরিশাল ইউনিয়নে এমন ঘটনার প্রবিাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি, ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান।

রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের হরিনমারীস্থ নিজ বাসবাসভনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৭৬ সাল থেকে বরিশাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া টানা ১৮ বছর যাবত সেখানে চেয়ারম্যান হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। আসন্ন চতুর্থ  ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিক তালিকা তৈরির লক্ষ্যে গত ১২ নভেম্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে ও  নিয়ম বর্হিভূত ভাবে ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ  সম্পাদকের নাম প্রথমে না দিয়ে সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলামের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। রফিকুল ইসলাম ধর্ষণ মামলার আসামি (পলাশবাড়ী থানা, মামলা নং ৯/২৬০, তারিখ ০৬-১০-২০২১)। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়েছেন রফিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ভিপি রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, নিয়ম মেনে উপজেলা কমিটির উদ্যোগে অগ্রাধিকার ভিত্তিক তালিকা তৈরির লক্ষ্যে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বর্ধিত সভা করা হয়েছে। সভায় উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, বরিশাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আতাউর রহমান। সভায় পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ভিপি রফিকুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম,  বরিশাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মান্নান, সহ-সভাপতি সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি বাবুল আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক মো.  শামীম  মিয়াসহ আরও অনেকে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

সভায় আলোচনার মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিক তালিকা প্রণয়ণ সম্ভব না হওয়ায় উপস্থিত সবার পরামর্শে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের প্রাপ্ত ফলাফলে সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম প্রথম (প্রাপ্ত  ভোট-২৫), শামীম মিয়া দ্বিতীয় (প্রাপ্ত  ভোট-৯), বাবুল আক্তার তৃতীয় (প্রাপ্ত  ভোট-০৮)ও আব্দুল মান্নান চতুর্থ হন (প্রাপ্ত  ভোট-০১)। উক্ত তালিকা যাচাই-বাছাই করে জেলা কমিটির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে পাঠাবে পলাশবাড়ী উপজলা কমিটি।


জানা  গেছে দীর্ঘ ১৯ বছর পর ওই ইউনিয়নে আগামী ২৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সীমানা জটিলতার কারণে এত বছর সেখানে ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।