ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

ইতালিতে যথাযথ মর্যাদায় শোকদিবস পালন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
ইতালিতে যথাযথ মর্যাদায় শোকদিবস পালন

রোম (ইতালি): যথাযথ মর্যাদায় ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস পালন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।  

এরপর সন্ধ্যায় একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় জীবনীর ওপর নির্মিত ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়।  

পরে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীদের দেওয়া বাণীসমূহ পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তারা।  

বাণী পাঠের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বহু সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বাংলাদেশের জন্মে জাতির পিতার অবদানকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না।  

আবদুস সোবহান সিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি স্বপ্ন দেখতেন এবং সে স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে একটি সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দেশ উন্নয়নের সবধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু পুরোপুরি বাস্তবায়নের আগেই তিনি দুই কন্যা ছাড়া পরিবারের সবসদস্যসহ শাহাদাতবরণ করেন। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এটি একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজেই সেই অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে নিয়োজিত আছেন। তার এ আরাধ্য কাজে সব দেশপ্রেমিক জনগণকে সহযোগিতা করার জন্য রাষ্ট্রদূত অনুরোধ করেন।  

১৫ আগস্ট ১৯৭৫ তারিখে বঙ্গবন্ধুসহ শাহাদাতবরণকারী সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।  

আয়োজিত জাতীয় শোকদিবসের কর্মসূচিতে রোম ও এর পার্শ্ববর্তী শহরে বসবাসরত রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতা ও সাংবাদিকসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।