রংপুর: শারীরিক অসুস্থ চিত্র রঞ্জন রায়। অসুস্থতার কারণে ভারী কোনো কাজ করতে পারেন না।
বৃদ্ধ বাবা-মাকেও তাকে দেখভাল করতে হয়। পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে তার। কিন্তু ছেলেকে স্কুলে পড়ানোর মতো সামর্থ্য নেই তার। এ ছোট দোকানের আয়ে বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তানসহ পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে দুর্দশার মধ্যেই দিন পার করেন তিনি।
গত রোববার জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে বসুন্ধরা শুভসংঘ তারাগঞ্জ উপজেলা শাখা থেকে তার দোকানে সহায়তা পাঠানো হবে। সে আশায় সোমবার (২৩ জুন) সকাল থেকেই দোকানের সামনে বসে পথ চেয়ে ছিলেন তিনি। দূর থেকে শুভসংঘের সদস্যদের মোটরসাইকেল আসতে দেখে আনন্দে চোখে জল এসে যায় তার। যখন সদস্যরা দোকানে উপহারের মালামালের বস্তা খুলে সাজিয়ে দিচ্ছিলেন, তখন চিত্র রঞ্জনের চোখে আনন্দ অশ্রু ঝরছিল। তার দোকানটি পূর্ণ হয়ে ওঠে, আর মনটিও ভরে যায়।
চিত্র রঞ্জন রায় বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। আমার শরীরে এমন এক অসুখ যে কোনো কাজ করতে পারি না। দোকানে সারাদিন বসে থাকি, সামান্য যা বিক্রি হয়, তা দিয়েই বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনোমতে খাই। আমাকে কেউ দেখে না। বসুন্ধরা আমার উপকার করেছে। ভগবান যেন তাদের ভালো রাখেন। ’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা শুভসংঘ তারাগঞ্জ উপজেলা শাখার উপদেষ্টা হরলাল রায়, উপদেষ্টা সুজন বাবু, সভাপতি এনামুল হক দুখু, সাধারণ সম্পাদক দীপংকর রায় দিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক রহমত মণ্ডল, সদস্য আসাদুজ্জামান খান জামান, সদস্য বিশ্বজিৎ রায়, পলাশ রায়, নুর আলম বাদল, লালবাবু রায় প্রমুখ।