ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

ফেডারেশনের বিলম্বে বিলম্বিত হকির ফ্লাডলাইট প্রকল্প

মহিবুর রহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৭
ফেডারেশনের বিলম্বে বিলম্বিত হকির ফ্লাডলাইট প্রকল্প মাওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়াম/ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা: ফ্লাডলাইট প্রকল্প প্রস্তাবে কয়েকটি নতুন আইটেম যোগ করেছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। তাই প্রকল্পটি এই মুহুর্তে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে বলে জানালেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস।

প্রথম দিকের প্রস্তাবনায় হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তারা এই আইটেমগুলো উল্লেখ করেননি বলেই পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে, যা ফ্লাড লাইট স্থাপনে বিলম্ব ঘটিয়েছে বলেও মত দিলেন সচিব।
 
তিনি জানান, ‘হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের মতামত দিতে অধিক বিলম্ব করেন।

সর্বশেষ তারা যে মতামতটি দিয়েছেন তারই আলোকে প্রকল্প প্রস্তাবটি এখন পুনর্গঠনের পর্যায়ে আছে। খুব শিগগিরই এটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যাবে। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বিলম্বে প্রতিবেদন আসায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। ’
    
তবে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শেষ করে কবে নাগাদ ফ্লাডলাইট প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে সেই বিষয়টি এখনও তিনি নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না, ‘হকি ফেডারেশনের দেয়া নতুন প্রস্তাবনা সম্বলিত বিষয়গুলো এখনও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যায়নি। রোববার (১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন তাদের চূড়ান্ত মতামত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে। ওই মতামত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি বই আকারে তৈরি করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। মন্ত্রণালয়ে গেলে বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমে তা সরকারের অনুমোদন লাভ করবে। সরকার অনুমোদন দেয়ার পরে ক্রীড়া পরিষদ টেন্ডার আহবান করবে। এরপর ওয়ার্কঅর্ডার মিললে তবেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। ’

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমতবে ফ্লাডলাইট স্থাপনে বিলম্বের কারণ হিসেবে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাবেই প্রকল্পটির পুনর্গঠন করতে হচ্ছে। কেননা প্রথম প্রস্তাবেই তারা যদি আলোচনার মাধ্যমে আইটেমগুলো সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করতে পারতেন তাহলে ফ্লাডলাইট স্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হতো না।
 
এর আগে, গত আগস্টে বাংলানিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ক্রীড়া পরিষদ সচিব বলেছিলেন, ‘সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে এবছর (২০১৬) থেকেই আমরা কাজ শুরু করতে পারবো। ’ আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে, গেল সেপ্টেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টের পরেই প্রকল্পের কাজ শুরু করার কথা ছিল। সেটা করতে পারলে এখন হয়তো প্রকল্পের অর্ধেক কাজ বাস্তবায়নও হয়ে যেত। কেননা সচিব বলেছিলেন ওয়ার্কঅর্ডার পাওয়ার পরে ফ্লাডলাইট বসাতে ৮-৯ মাস লাগবে।
  
দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক মানের হকি ভেন্যু মাওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়াম। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের হলেও ফ্লাডলাইটের অভাবে এখানে আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টই আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক যে কোনো ম্যাচে সন্ধ্যা হলেই খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ফ্লাডলাইটের উজ্জ্বল আলোয় স্টেডিয়ামকে জ্বলে উঠতে দেখা যায় না।
 
তাই ফ্লাডলাইট স্থাপন এখন সময়ের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা গেল নভেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হকি টুর্নামেন্ট ঢাকায় আয়োজনের কথা থাকলেও ফ্লাডলাইট না থাকায় সরিয়ে নেয়া হয়েছিল মালয়েশিয়াতে।

দেশের ক্রীড়া উন্নয়নে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে মাথায় রেখেই হকি ফেডারেশনকে ১০ কোটি টাকার বেশি আর্থিক অনুদান দিচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ফ্লাডলাইট ছাড়াও এই অনুদান দিয়েই একটি পুর্ণাঙ্গ পাওয়ার স্টেশন, মাঠে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও লিফট বসানোর বিষয়টিও অন্তর্ভূক্ত থাকছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ২ জানুয়ারি ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।