ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

 টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলের দাবি ১১ সংগঠনের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
 টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলের দাবি ১১ সংগঠনের

কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরুর বিষয়ে সিদ্বান্ত হবে বুধবার (১১ জানুয়ারি)। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ।

এদিকে  মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে এই রুটে  জাহাজ চলাচলের অনুমতির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ১১টি সংগঠন। এ সময় লিখিত বক্তব্যে ট্যুর অপারেটস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, নাব্যতা সংকটের অজুহাত দেখিয়ে চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের
অনুমতি দেয়নি।

এতে কক্সবাজার তথা সেন্টমার্টিন ভ্রমণ সেবা দেওয়া ৫ লাখ মানুষের জীবিকা এখন হুমকির মুখে। অথচ প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমে যত পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করেন, তাদের অধিকাংশই সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ইচ্ছা পোষণ করেন। যেহেতু সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ যা মূল ভূখণ্ড থেকে ১৫ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত। সাগর পথে যাতায়াত করা সহজসাধ্য নয় বিধায় প্রতি বছর নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সাগর শান্ত থাকায় পর্যটকরা সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৯ সালে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ১ লাখ সাড়ে ৬০ হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করছেন। অর্থাৎ ১৫১ দিন পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ১,০৬৩ জন মানুষ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করেছে। কিন্তু বর্তমানে নাব্যতার সংকট দেখিয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটন পরিবহন জাহাজ বন্ধ আছে। কিন্তু মিয়ানমারের মালামাল পরিবহন অব্যাহত আছে। যদি নাব্যতার সংকট থাকতো তাহলে মিয়ানমারের জাহাজ মালামাল নিয়ে কীভাবে আসে?

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ট্যুর অপারেটস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিবুর রহমান টিটু, কলাতলীত মেরিন ড্রাইভ হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখিম খান, কক্সবাজার হোটেল মোটেল
গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ, সেন্টমার্টিন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম, জেলা হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ডালিম, এসএম আবু নোমান প্রমুখ।

এদিকে বর্তমানে পর্যটনের ভরা মৌসুম চললেও এখনো অনিশ্চিত রয়েছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল।

বিষয়টি নিয়ে ১১ জানুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
এসবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।