ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পর্যটন

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পর্যটনের বড় ভূমিকা রয়েছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৩
‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পর্যটনের বড় ভূমিকা রয়েছে’

কক্সবাজার: দেশের স্মার্ট সরকার স্মার্ট নাগরিক গড়ার কাজ ত্বরান্বিত করে চলেছে। দেশের আনাচ-কানাচে উন্নয়ন হচ্ছে স্মার্টলি।

সর্বত্র স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা রয়েছে বিরাজমান। দেশের স্মার্ট সরকার গত ১৫ বছরে জাতীয় অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত করেছে। সে সঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পর্যটনের রয়েছে বিশাল ভূমিকা।

রোববার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার সাগর পাড়ের লাবনী পয়েন্টে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভালের মঞ্চে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পর্যটনের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান।  

জেলা প্রশাসন আয়োজিত সাত দিনব্যাপী এ বিচ কার্নিভালের প্রধান স্পন্সর দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাপ্তি চাকমা।

তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যটন শিল্পের সর্বোচ্চ বিকাশে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। পুরো দেশকে আটটি পর্যটন জোনে ভাগ করে প্রতিটি স্তরে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথমবারের মতো সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে কক্সবাজার পর্যটন অবকাঠামো নির্মাণে ২৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলোতে প্রায় প্রত্যক্ষভাবে বিনিয়োগ হবে ৩৭ হাজার কোটি টাকা আর পরোক্ষভাবে বিনিয়োগ হবে এক লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

তিনি বলেন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ, মহেশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, ঘুমধুম পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণ, কুতুবদিয়া বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প, এথনিক ভিলেজ, সোনাদিয়া পর্যটনকেন্দ্র, আধুনিক হোটেল মোটেল নির্মাণ, সাবরাং ও নাফ ইকোট্যুরিজম পার্ক ইত্যাদি। ধারণা করা হচ্ছে, এসব প্রকল্পে প্রায় কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে, যা এ অঞ্চলের বেকারত্বসহ অর্থনীতির পথ সুগম করবে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা একজন স্মার্ট প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারকে স্মার্টলি সাজানোর কাজে মূখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
 
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পর্যটনের বিকাশের স্বার্থে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। কক্সবাজার রেল লাইন নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ করেই ক্ষান্ত হননি প্রধানমন্ত্রী। এখন সময়ের প্রয়োজনে মেরিন ড্রাইভকে চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে।  

সেমিনারে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজারের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজতর করার জন্য সরকার কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে কয়েক লেনে উন্নীত করে গড়ে তুলছে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মী। হোটেল-মোটেলে পর্যটকদের সুবিধা-অসুবিধা তদারকি করার জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। সে সঙ্গে সৈকতে পুলিশের পক্ষেও ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সেমিনারে কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সোলাইমান বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কোনো তুলনা নেই। আমাদের দরকার কেবল ভ্রমণ পিপাসুদের সহজ যাতায়াতের সঙ্গে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। তাহলেই নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা সহজতর হয়।

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য রেজাউল করিম, ট্যুর অপারেটর অব বাংলাদেশের (টুয়াক) উপদেষ্টা মুফিজুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২৩
এসবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।