নেত্রকোনা: প্রকৃতির সান্নিধ্যে যেতে কার না ভালো লাগে। শীত মৌসুমে সরিষা ফুলের ক্ষেতে গিয়ে উচ্ছলতায় মাতেননি এমন লোক পাওয়া বিরল।
এই বিষয়টিকেই অভিনব উদ্ভাবনীতে রূপ দিলেন নেত্রকোণার প্রবাসফেরত যুবক মিন্টু মিয়া। সরিষাক্ষেতেই তিনি গড়ে তুলেছেন কফিশপ। অপরূপ দৃশ্য উপভোগের সঙ্গে খানিকটা অবসর সময় কাটাতে তাই এই শপে প্রতিদিন ভিড় করছে শত শত দর্শনার্থী। তারা ঘোরার সঙ্গে তুলছেন ছবি, সঙ্গে শপে চুমুক দিচ্ছেন চা বা কফিতে।
মিন্টু মিয়া নেত্রকোনার দক্ষিণ বিশোউড়ার পাবিয়াজুর গ্রামের মাইনউদ্দিনের ছেলে।
তিনি জানান, প্রথমে বাড়ির সামনে একটি রেস্টুরেন্ট খুলেছিলেন। পরে কৃষি কমকর্তার কাছ থেকে বীজ এনে ৬০ শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করেন। আশপাশে মানুষকে সরিষাক্ষেতে ঘুরতে আসতে দেখে তার হঠাৎ মাথায় আসে ব্যবসায়ের আইডিয়া। সরিষা ক্ষেতের মনোরম পরিবেশে বসে খাবার উপভোগের ব্যবস্থা করতে পারলে তা দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে বলে মাথায় নেন।
তাই ইশ্বরগঞ্জ সড়কের পাশে সরিষাক্ষেতের মাঝে দশনার্থীদের বসার চেয়ার ও ছাতা বসিয়ে দিলেন। সঙ্গে আয়োজন করলেন, চা-কফি ও নাস্তার। সরিষা ফুল ফুটতেই সকাল-বিকাল দূরদূরান্ত থেকে তার ক্ষেতে ভিড় করতে থাকে নানা বয়সী লোকজন।
প্রকৃতির মাঝে বিনোদনের এই নতুন স্পট পেয়ে দশনার্থীরাও বেশ খুশি বলে জানান। তারা জানান, এর মাধ্যমে প্রকৃতির মাঝে একটু সময় কাটানো এবং স্মৃতি ধরে রাখার উপলক্ষ পেয়েছেন তারা।
আগতরা বলছেন, এটি আয়ের একটি নতুন উৎস। এই উদ্যোগ একদিকে যেমন প্রকৃতির প্রতি মানুষের ভালোবাসা বাড়াবে, তেমনি ক্ষেতের সৌন্দর্য ও ফসলের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
মিন্টু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আগের চেয়ে আমার আয় অনেক বেড়ে গেছে। ক্ষেতের সৌন্দর্য নষ্ট না করেই ছবি তোলার জন্য বিশেষ জায়গা তৈরি করেছি এবং দর্শনার্থীদের বসে চা-কফি পান করার ব্যবস্থা করেছি। এমন মনোরম একটা পরিবেশ তৈরি করতে পেরে আমার নিজেরও ভালো লাগছে।
সরিষার মৌসুম শেষ হলে নতুন আরও কিছু পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান মিন্টু মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
এইচএ/